সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৫:২৫ এএম

প্রকাশক-সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য উপদেষ্টা

নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকে  দায়িত্বশীল হতে হবে 

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৫:২৫ এএম

প্রকাশক-সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশক-সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য উপদেষ্টা

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়েছে। এরই মধ্যে বেজেছে নির্বাচনের ডামাডোল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকারের সব মহল। ব্যতিক্রম নেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ও। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যেহেতু গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ কীভাবে প্রকাশ হয় তা নিশ্চিত করা, সেহেতু কাজটি কিছুটা কঠিন। আর তাই নির্বাচনকালে সংবাদমাধ্যমগুলোকে বিশেষ করে নির্বাচনের আগে, নির্বাচন চলাকালে ও পরে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, গণমাধ্যমের এ-সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন নির্বিঘেœ যাতে হয় সে ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর তথ্য ভবনে ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশক, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা অংশ নেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অতীতের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তারা ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে নির্বাচনকালে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা। 

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছর দেশ একটা স্বৈরশাসনের অধীনে ছিল। এ সময়টায়  গণমাধ্যম আস্থা হারিয়েছে। সেই আস্থা পুনরুদ্ধারে নির্বাচনকালে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।’ তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। জনগণ ভোট দিতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হবে না, সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আশা করছি, দেশের গণমাধ্যমগুলোও এ চিন্তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, তবে গণমাধ্যম যেন এর মূল কারণ ও দায়-দায়িত্ব খুঁজে বের করে প্রকাশ করে সেই আহ্বানও জানান উপদেষ্টা।

এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে, চলাকালে ও পরে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত হবে সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। ভোট দিতে গিয়ে কেউ যেন সহিংসতার শিকার না হয়, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আরও বলেন, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে, গণমাধ্যমকে অবশ্যই তার মূল কারণ ও দায়-দায়িত্ব বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করতে হবে। সত্য জানানো এবং জনস্বার্থে অবস্থান নেওয়াই গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি তথ্যনির্ভর নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। 

মাহফুজ আলম বলেন, ‘এবারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক তরুণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তরুণ ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোট দেবেন। কোনো রাজনৈতিক দল কী ভূমিকা পালন করছে, তা প্রবাসীদের কাছে পৌঁছাতে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।’

নির্বাচনের সময় তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে কী ঘটছে, কী ধরনের দুর্নীতি ও সহিংসতা হচ্ছে, সবকিছু জনগণকে জানাতে হবে। এর আগে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের ওপর বাধা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ওপর কোনো বাধা থাকবে না।

নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতিপূর্ণ বিধিনিষেধ থাকলে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অতিরিক্ত সচিব কাউসার আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধান এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রধান তথ্য অফিসার নিজামূল কবীর।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!