ঢাকা সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পুলিশের মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৫:৩৯ এএম
রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গেয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে গোয়ালন্দ থানা ও ডিবি পুলিশ গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে একই দিন ভোরে এ ঘটনায় সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শরিফ আল রাজীব এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, গোয়ালন্দ দেওয়ানপাড়া আফজাল সরদারের ছেলে শাফিন সরদার, মৃধা পাড়ার মৃত আক্কাস মৃধার ছেলে ও উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ মৃধা, উজানচরের লাল মিয়া মৃধার ছেলে ও উজানচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, দেওয়ানপাড়ার জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি ও ৭নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া কাজী আরিফের ছেলে কাজী অপু।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর ‘ঈমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে যেতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও থানা পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে। সেইসঙ্গে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের দুজনকে পিটিয়ে ও ঢিল ছুড়ে আহত করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার বাড়ি ও দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভবন ও দরবার শরিফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে তৌহিদী জনতা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলা মারা যান। এরপর তার ভক্তরা তাকে দরবারের ভেতরেই কবর দেন এবং কবরের ওপর প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট উঁচু একটি স্থাপনা তৈরি করে। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই স্থাপনাটির তীব্র বিরোধিতা করে, কারণ তাদের মতে, এটি মুসলমানদের কেবলা সৌদি আরবের কাবা শরিফের মতো দেখতে ছিল। এদিকে এখন পর্যন্ত নুরাল পাগলার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।