মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে গত শুক্রবার রাতে বড় ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়। এখানে ‘ছোট পাকিস্তান’ নামে গড়ে ওঠা একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ মোট ১৯৬ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। কুয়ালালামপুরের চৌ কিট এলাকায় পাকিস্তানি রেস্তোরাঁ ও আশপাশের ব্যাবসায়িক স্থাপনাগুলো ঘিরে এ অভিযান চালানো হয়। গতকাল শনিবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ৭০০ মিটার দীর্ঘ এলাকায় অবস্থিত ৪৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান- রেস্তোরাঁ, খুচরা দোকান ও হোটেলে হানা দিয়ে প্রায় ৪০০ জন বিদেশি ও স্থানীয়কে তল্লাশি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আট দেশের নাগরিকদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জর্ডান, নেপাল, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা আটক হন।
এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, অভিযানে তিনজন স্থানীয়কেও আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ পরিচালকেরা বৈধ কর্মীদের আড়ালে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে লাগাচ্ছিলেন। আমরা এ ধরনের ধূর্ত কৌশলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
অভিযানে ইমিগ্রেশনের পাশাপাশি ডিবিকেএল, কেপিডিএন এবং রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয়। এ সময় ১৯৭৪ সালের আইন ভঙ্গের দায়ে ৫২টি টেবিল ও ২০৪টি চেয়ার জব্দ করা হয়।
কেপিডিএন ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচটিকে মোট ৫ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা করে। এ ছাড়া কোম্পানি কমিশন (এসএসএম) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সাতটি কম্পাউন্ড জারি করেছে। কোন দেশের কতজনকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
আটক অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং সংশ্লিষ্ট বিধির অধীনে অবৈধভাবে অবস্থান, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা ব্যবহার এবং কাজের পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি বলেন, এ ধরনের অভিযানের মাধ্যমে রাজধানীতে গড়ে ওঠা তথাকথিত ‘ছোট পাকিস্তান’-এর মতো এলাকাগুলোকে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। তিনি জনগণকেও অবৈধ অভিবাসনসংক্রান্ত তথ্য দিতে আহ্বান জানান।