জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সবাই একমত হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে অহেতুক সাংবিধানিক বিতর্ক তুলে বারবার জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করলে আরেকটি অভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়বে।
তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, আরেকটি অভ্যুত্থান হলে জটিলতা সৃষ্টিকারীদের গণরোষ থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য জন্য অনেকগুলো বড় হেলিকপ্টার লাগতে পারে। গতকাল রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মঞ্জু এসব কথা বলেন।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক আবার শুরু হয়। কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হকও দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন।
মঞ্জু বলেন, সনদ মোটামুটি চূড়ান্ত হওয়ার পর এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে আমরা অনেকে অধিকমাত্রায় আইন ও সাংবিধানিক বিতর্কের অবতারণা করছি, অথচ শেখ হাসিনা সংবিধানের দোহাই দিয়ে চরমভাবে সংবিধানকে ভূলুণ্ঠিত করে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চালিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থান হলো জনগণের ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষার চূড়ান্ত প্রকাশ। এবি পার্টির পক্ষ থেকে সব পক্ষের মতামত সন্নিবেশিত করে জুলাই সনদ সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জারি করা, ১০৬ অনুচ্ছেদের আলোকে সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণ, সর্বোপরি জনগণের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য গণভোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর একটি সফল সমাধানে পৌঁছানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক কমিশনে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার যুক্তিতে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন-পরবর্তী সংসদের ওপর ন্যস্ত করার প্রস্তাবটি অন্যায্য এবং জুলাই অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষার পরিপন্থি।
ব্যারিস্টার সানী আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রশ্নটি যতটা আইনি, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। সে জন্য রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা ও কাঠামোগত পুনঃসজ্জায় রাজনৈতিক দলগুলো ও অংশীজনদের ভেতরে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
