ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশ রেলওয়ে

ব্রিটিশ রেললাইনে ‘দ্বিতীয় লন্ডনে’ যাত্রীসেবা!

সালমান ফরিদ, সিলেট
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১২:৩৩ এএম

ব্রিটিশ আমলে রেললাইন স্থাপনের পর ১৯১৫ সালে চালু হয় সিলেট রেলওয়ে স্টেশন। রেললাইন নির্মাণের পর কেটে গেছে শত বছরেরও বেশি সময়। ১৯৫৪ সালে প্রবর্তন হয় সিলেট রেল সেকশনের। কিন্তু আজ অবধি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের মুখ দেখেনি সিলেটের রেললাইন। সেই পুরোনো ব্রিটিশ আমলের লাইন দিয়ে যাত্রীসেবা দেওয়া হচ্ছে ‘দ্বিতীয় লন্ডন’খ্যাত সিলেট অঞ্চলে। ঝুঁকিপূর্ণ লাইন, ব্রিজ রয়েছে রেলপথের সর্বত্র। সাথে আছে লক্কড়-ঝক্কড় ইঞ্জিন-বগি। ফলে প্রতিনিয়তই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে প্রায়ই ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হচ্ছে প্রাণহানি। কিন্তু তারপরও টনক নড়ে না রাষ্ট্রের। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে অথবা যে অংশ রেল চলাচল একেবারেই অনুপযোগী হয়ে ওঠে, সেখানে দেওয়া হয় জোড়াতালি। তবুও পুরো লাইন সংস্কারে হাত দেওয়া হয় না। 

এভাবে দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন হয়ে রেলের ভার বহন করা, সর্বত্র লাইন আঁকাবাঁকা হয়ে যাওয়া, স্লিপার ক্ষয়ে যাওয়া, নাট-বল্টু কোথাও খুলে যাওয়া বা চুরি হওয়া, নষ্ট হয়ে পড়া ব্রিজÑ এসব নানা ঘটনা সিলেট রেল রুটে দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেট অঞ্চলের রেলপথ পরিণত হয়েছে দৃশ্যমান মৃত্যুফাঁদে।

অবশ্য বারবার এসব কারণ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচিত হয়েছে। অতীতে সরকারগুলোর কানেও পৌঁছেছে সবসময়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কেউ সিলেটের দুঃখে আন্তরিকভাবে কর্ণপাত করেনি। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে সবসময়। রাজনৈতিক বিবেচনায় সরে আসা হয়েছে সিলেটের রেললাইন সংস্কার থেকে। ‘ঢাকা-সিলেট রেললাইন সংস্কার প্রকল্পের ফাইল বাক্সবন্দি করে রাখা হয় গত আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো ৩ আমলে। রেলের পূর্বাঞ্চলের সিলেট রেল সেকশনে এ সময় বড় দাগে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এর আগে বিএনপির অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সিলেট স্টেশনের সংস্কার করেছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলে রুটে নেমেছে কালনী এক্সপ্রেস। তবে এ সময় বন্ধ হয়েছে অসংখ্য স্টেশন। পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিলেট-ছাতক লাইনটি! গত ২৫ বছরে সিলেটে রেলসেবার দৃশ্যমান উন্নয়ন বলতে এটুকুই।

রেলের একটি সূত্র জানায়, বিএনপি সরকারের আমলে রেলের ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রুট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনের দ্রুতগতির যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পৃথক প্রকল্প নেওয়া হলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের আগ্রহে সেখানে সিলেট রুটকেও সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার এসে ‘সাইফুর রহমানের আগ্রহের প্রকল্প’ হওয়ায় ওই প্রকল্প থেকে সিলেটকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছরের আমলে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রেলসেবার উন্নয়নে কোনো বড় গ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি। যা হয়েছে তা ‘ঠেকায়’ পড়ে। ভাঙা ভাঙা সংস্কার ছাড়া এই রুটকে ফেলে রাখা হয়েছে আগ্রহের তালিকার সব শেষে।

ফলে দেশে নতুন রেল সড়ক, নতুন রেলসেতু, নতুন স্টেশন নির্মাণ, নতুন রেলবহর এলেও সিলেট রয়ে গেছে অবহেলার শীর্ষে। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত রেললাইন পড়ে আছে উন্নয়নবঞ্চিত হয়ে। আর এ জন্য এখনো ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেললাইনের ওপর দিয়ে ট্রেন চালিয়ে সিলেটে যাত্রীসেবা দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়েকে! 

আখাউড়া থেকে সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ রুটের গতি সবসময় স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেকে নামিয়ে রাখতে হয়। ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সর্বোচ্চ গতিতে আখাউড়া পর্যন্ত এলেও সেখান থেকে শুরু হয় বিপজ্জনক রেল ভ্রমণ। শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটের পথে সেই গতি ৪০ কিলোমিটারে এসে ঠেকে। কুলাউড়ার আগে থেকে সিলেট পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে গতি ৩০ কিলোমিটারের নিচে নামিয়ে রাখতে হয়। এ জন্য যাত্রার সময় এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি। তা ছাড়া রয়েছে ভয়ংকর শব্দ। রেল সড়ক মান্ধাতা আমলের হওয়ায় মাধবপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ভয়াবহ শব্দদূষণের মধ্যদিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়। সাথে থাকে তীব্র ঝাঁকুনি।

রেলওয়ে জানায়, প্রতিদিন পূর্বাঞ্চলের সিলেট-রেলপথে চলছে ৬ জোড়া আন্তঃনগর ও ১ জোড়া মেইল ট্রেন। এতে ১২-১৫ হাজার যাত্রী সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন। এ অঞ্চলের মানুষের দাবি থাকলেও গেল ৫০ বছরের বেশি সময়েও স্থাপন করা যায়নি ডুয়েল লাইন রেল সেবা। এতে কিছুদিন পরপর ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা। উদ্ধার কাজেও হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে শ্রমিকদের। যদিও গত ৫ বছরে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু স্থানে লাইন মেরামত ও আনুষঙ্গিক সংস্কার কাজে সরকার এই লাইনে ব্যয় করেছে ১৫ কোটি টাকার বেশি।

সম্প্রতি সিলেট অঞ্চলের রেলপথে প্রায়ই ঘটছে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা। কখনো যাত্রীবাহী, কখনোবা তেলবাহী ট্রেন। নিকট অতীতে দেশের যত বড় বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার বেশির ভাগই ঢাকা-সিলেট রুটে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সকালে সিলেটের মোগলাবাজারে দুর্ঘটনার শিকার হয় চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস। এ দুর্ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইন। 

রেলওয়ে প্রকৌশল-অপারেশন ও পরিবহন দপ্তর জানায়, সিলেট-আখাউড়া রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮০ কিলোমিটার। নির্মাণের ৫৫ বছর পর এখানকার সব রেল সেতুর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এ রুটে সেতুর বয়স শত বছরের ওপরে। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব ব্রিজ রেলের ভাষায় ‘ডেথ স্টপ’। ডেথ স্টপে সব ধরনের ট্রেন বাধ্যতামূলক দাঁড়াতে হয়। তালিকা অনুযায়ী সিলেট-আখউড়া রুটে ১৩টি সেতুকে ‘ডেথ স্টপ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ সেতুর আগে ট্রেন থেমে যাবে, পরে ৫ কিলোমিটার গতিতে সেতু অতিক্রম করবে। সিলেট থেকে মোগলাবাজার স্টেশন পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে ৮টি ও মোগলাবাজার থেকে আখাউয়া পর্যন্ত ১৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৫টি সেতু ‘ডেথ স্টপ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া পুরো রেলপথের প্রায় ৯০ শতাংশই জরাজীর্ণ-ত্রুটিপূর্ণ। লেভেল ক্রসিংয়ের ৮৮ শতাংশই অবৈধ। 

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সিলেট-আখাউড়া তথা সিলেট রেল সেকশন উন্নয়নে সর্বশেষ বড় প্রস্তাবনা আসে ২০১৮ সালে। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী সিলেট-আখাউড়া বিদ্যমান জরাজীর্ণ মিটার গেজ লাইনের ওপর ডুয়েলগেজ লাইন স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ওই সময় এ প্রকল্পে চীনের একটি কোম্পানির অর্থায়নের পাশাপাশি প্রকল্পের ঋণের সুদের হার এবং সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রস্তাবিত ওই রেলপথ নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে খরচ ধরা হয় প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। অবশেষে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে ২০২০ সালে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আখাউড়া-সিলেট রেলপথে সমান্তরাল ব্রডগেজ ডুয়েলগেজ লাইন স্থানের লক্ষ্যে আরেকটি নকশা-সমীক্ষা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এখন পর্যন্ত নকশা-সমীক্ষার কিছুই হচ্ছে না। 

সূত্র জানায়, গত এক দশকের মধ্যে অর্ধশতাধিক ছোট-বড় ও ভয়াবহ কয়েকটি দুর্ঘটনায় পড়েছে রেল। এ রুটের চরম ঝুঁকিপূর্ণ অধিকাংশ ব্রিজ, লাইন, ইঞ্জিন, বগি, সিগন্যাল, স্লিপার, ফিসপ্লেট, নাট-বল্টু, পাথর, জয়েন্ট পয়েন্ট, ক্রসিং পয়েন্ট, হুক, ক্লিপ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও রেলস্টেশনসহ সবকিছুই পুরাতন ও জরাজীর্ণ। সরেজমিনে অনেক স্থানে ত্যানা (পুরাতন কাপড়), সুতলি, প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে ফিসপ্লেট ও নাট-বল্টু আটকে রাখতে দেখা গেছে। স্লিপারের সঙ্গে রেললাইন আটকানোর হুক ও ক্লিপ নেই। জয়েন্ট পয়েন্ট ও ক্রসিং পয়েন্টের ফিসপ্লেট ও নাট-বল্টু  থ্রেডহীন, অকার্যকর। নেই স্লিপার ও পর্যাপ্ত পাথর। সিলেট-আখাউড়া লাইন চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঘন ঘন ঘটছে দুর্ঘটনা। ২০১৯ সালের ২৩ জুন রাতে ‘উপবন এক্সপ্রেস’ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল বড়ছড়া ব্রিজে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ব্রিজ ভেঙে ৫টি বগি নিচে ও খাদের পাশে পড়ে ৪ নিহত ও ৩ শতাধিক যাত্রী আহত হন। এরপর গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দুর্ঘটনার মূল কারণ রেলপথ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়াকে উল্লেখ করা হয়।

ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ম্যানুয়েলের নির্দেশনানুযায়ী নিয়মিত ট্রলি নিয়ে পরিদর্শন করে ত্রুটি শনাক্ত করাসহ সাত দফা সুপারিশও করা হয়। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই আজও। ওই বছরের ৯ মাসে রেলের সিলেট রোডেই ছোট-বড় ২০টির বেশি দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের পরিসংখ্যান ছিল উল্লেখযোগ্য। গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেটে গত ৫ বছরে ১৫টি রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২০ যাত্রীর। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫ শতাধিক।

সিলেট-ঢাকা রুট সংস্কারসহ নানা দাবিতে রেলের সিলেট অঞ্চলে শুরু হয়েছে আন্দোলন। আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ কুলাউড়া, সিলেট রেলওয়ে উন্নয়ন ফোরাম ও বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান ফোরাম, সিলেটের ব্যানারে কুলাউড়া ও সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।  আট দফা দাবি আদায় আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম বলেন, সিলেটে রেলের যেসব দুর্ঘটনা ঘটে তা আকস্মিক নয়। এমন দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরি করে রাখা হয়েছে। নেই কোনো সংস্কার, কোনো উদ্যোগ। ফলে ঘনঘন দুর্ঘটনা ঘটছে। 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দীপন বলেন, সিলেট রুটে রেলের যাত্রীসেবা প্রকৃত অর্থে সবদিক থেকে উপহাসের শামিল। এই রুটে রেল সার্ভিস দেশের প্রধান রুটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নি¤œমানের। অথচ যদি ট্রেন সার্ভিস ভালো হতো, ব্রডগেজ করা যেত, রেলের সংখ্যা বাড়ানো যেত, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হতো; সর্বোপরি আধুনিক ব্যবস্থাপনায় আরামদায়ক ট্রেন সার্ভিস নিশ্চিত করা যেত, তাহলে সমগ্র দেশের মধ্যে সিলেট-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি লাভের মুখ দেখত। 

সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ বলেন, ঢাকা-সিলেট রুটে দ্রুততর ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লাইন ও ব্রিজের জরুরি মেরামত দরকার। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন, নতুন বগি সরবরাহ ও আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম বসানোর শুধু কথা নয়, নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কাজ শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১২ সালের ১৫ মে ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস চালু হয়। এরপর আর কোনো রেল সেবায় যায়নি কোনো সরকার। পরবর্তীতে টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস চালুর ঘোষণা দিলেও সেটি আলোর মুখ দেখেনি। এটি দ্রুত চালু করতে হবে। 

সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপদ বাহন ট্রেন’Ñ এই তকমা প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কারণে। এই সেকশনে ঘনঘন দুর্ঘটনা ট্রেনযাত্রাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। 

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, এই রুটে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ট্রেন ও বগি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রেলওয়ের সাথে কথা বলেছি।