বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০১:০৬ এএম

চাকরির প্রলোভনে বাংলাদেশি

তরুণীদের চীনের যৌনপল্লিতে বিক্রি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০১:০৬ এএম

তরুণীদের চীনের যৌনপল্লিতে বিক্রি

চীনে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের পাচার করে যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। তারা হলেনÑ চক্রের মূলহোতা আব্বাস মোল্লা, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, মিনার সরদার ও মোহাম্মদ রিপন শেখ। সম্প্রতি চীন থেকে পালিয়ে আসা এক তরুণীর মামলার ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম। তিনি জানান, গ্রেপ্তার চারজন ছাড়াও দেশের আরও কয়েকজন এবং কিছু চীনা নাগরিক এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মামলার বাদী ভুক্তভোগী তরুণী পিরোজপুরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী তরুণী ও তার খালাতো বোনের সঙ্গে আসামি বাবুর সঙ্গে পরিচয় হয়। ভুক্তভোগী তরুণী বাবুর কাছে ঢাকায় একটি ভালো কাজের সন্ধান চান। বাবু তাদের জানান, চীনে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি আছে, বিশেষ করে যারা পার্লারের কাজ জানে এবং তাদের চীনে আকর্ষণীয় বেতনে কাজের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে রাজি হলে, তাদের ঢাকায় নিয়ে আসে এবং এই চক্রের মূলহোতা আব্বাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

প্রতারক আব্বাস তাদের আশ্বাস দেন, চীনে ভালো কাজ আছে এবং তাদের সেখানে পাঠানো যাবে। তরুণীদের চীনে এক লাখ টাকা বেতনে চাকরি দেওয়া হবে এবং সেখানে পৌঁছানোর পরপরই ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এই প্রলোভন দেখানোর পর তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা করে সিলভি নামের এক মেয়ের মাধ্যমে চীনে পাঠিয়ে দেন।

পরবর্তীতে তরুণীরা চীন যাওয়ার পর তাদের বিউটি পার্লারে কাজ না দিয়ে তাদের দুই বোনকে আলাদা দুটি বাসায় রেখে চক্রের সদস্যরা জোর করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে তারা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেন। বাংলাদেশে ফিরে এসে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার যে বোন চীনে আটক আছেন তাকে ফিরিয়ে আনতে বলেন। তখন আসামি আব্বাস ভুক্তভোগীর বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার আশ্বাস দিয়ে ভুক্তভোগী তরুণীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেন।

লে. কর্নেল মাহবুব আলম আরও বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী বুঝতে পারেন তিনি মিথ্যা আশ্বাসে ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তখন ভুক্তভোগী তরুণী থানায় মামলা রুজু করে এবং র‌্যাবের কাছেও সহযোগিতা চান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে র‌্যাব-৪ এর একটি দল গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!