বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০১:০৭ এএম

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা, লাশ রাখা হয় ডিপ ফ্রিজে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫, ০১:০৭ এএম

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা,  লাশ রাখা হয় ডিপ ফ্রিজে

স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের (৪২) সঙ্গে নজরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। পরপুরুষের সঙ্গে তাসলিমার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন নজরুল। এ ছাড়া তিনি সন্দেহ করছিলেন, তার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে পারেন তাসলিমা। যে কারণে নজরুল তার স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করে মরদেহ ডিপ ফ্রিজে রাখেন। রাজধানীর কলাবাগানে তাসলিমা হত্যা মামলায় স্বামী নজরুলকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর নজরুলকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নজরুল-তাসলিমা দম্পতির বাসা কলাবাগান এলাকায়। তাদের দুই সন্তান আছে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল বলেছেন, তাসলিমাকে সন্দেহ করতেন তিনি। পরপুরুষের সঙ্গে তাসলিমার সম্পর্ক আছে বলে তিনি সন্দেহ করছিলেন। তার সম্পত্তি স্ত্রী হাতিয়ে নিতে পারেন, এমন সন্দেহও কাজ করছিল। এই সন্দেহ থেকে তিনি স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজার তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। সন্দেহ থেকে তিনি উত্তেজিত হন। রাত ১২টার দিকে তিনি ঘুমন্ত স্ত্রীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। লাশ গামছা দিয়ে বেঁধে, বিছানার চাদর ও ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে বাসার ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। রক্তমাখা তোশক উল্টিয়ে, মেঝে পরিষ্কার করে, নিজের জামাকাপড় ধুয়ে আলামত গোপনের চেষ্টা করেন।

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, পরদিন সকালে নজরুল বড় সন্তানকে জানান, তার মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এ সময় বড় সন্তান ঘরের দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পায়। এরপর নজরুল তার দুই সন্তানকে নানার বাড়ি রেখে আসার কথা বলেন। কিন্তু তিনি সন্তানদের নিয়ে যান রাজধানীর আদাবরে তাদের ফুফুর বাসায়। সন্তানদের রেখে নজরুল প্রাইভেটকারে পালিয়ে যান। সন্দেহ হলে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেনসহ এই দম্পতির দুই সন্তান গত সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলাবাগান থানা-পুলিশের একটি দল ফ্ল্যাটটিতে যায় বলে জানান ডিসি মাসুদ আলম। তিনি বলেন, পুলিশ দরজার তালা ভেঙে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খোলে তারা। ফ্রিজের ওপরের দিকে থাকা মাছ-মাংস সরালে চাদর দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় তাসলিমার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। গোয়েন্দা তথ্যসহ প্রযুক্তির সহায়তায় কলাবাগান থানা-পুলিশ নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!