বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের দায়ে ১৪ ভারতীয় জেলেসহ একটি ফিসিং ট্রলার আটক করেছে নৌবাহিনী। আটক ট্রলারটিকে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে আনা হয়েছে। এরপর সেটি রাতে থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
আটক ভারতীয় জেলেরা হলেন, চন্দ্র দাস, আনন্দ দাস, সদানন্দ দাস, শেখর দাস, সুভাষ দাস, মনি শংকর শিকদার, বিপুল দাস, গৌরঙ্গ দাস, মৃত্যুঞ্জয় দাস, গৌরাঙ্গ হালদার, গৌতম দাস, বিশ্বজিৎ দাস, সুজন বিশ্বাস ও বিজয় দাস। তাদের সবার বাড়ি কলকাতার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় বলে জানা গেছে।
মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মোংলাবন্দরের অদূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ‘এফবি শুভযাত্রা’ নামক একটি ভারতীয় ফিসিং ট্রলার আটক করে সমুদ্রসীমায় টহলরত নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা শহীদ আক্তার উদ্দিন। ট্রলারটিতে ১৪ জন ভারতীয় জেলে রয়েছে।
তারা বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিল। তাদের বাড়ি ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়। আটক ট্রলারটিকে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় মোংলায় নিয়ে আসে নৌবাহিনীর অপর জাহাজ বানৌজা বিষখালী। ভারতীয় ট্রলারে থাকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ মণ মাছ রাতে মোংলার ফেরিঘাটে এনে উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হবে। মাছ বিক্রির এ অর্থ সরকারের রাজস্বে জমা হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন ও মৎস্য সম্পদ লুটের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর রোববার সকালে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ জুলাই দুটি ও ৩ আগস্ট একটি ভারতীয় ট্রলার ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে আটক করে নৌবাহিনী।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন