সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১২:৪৫ এএম

ড্যাপ সংশোধনীর প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৫, ১২:৪৫ এএম

ড্যাপ সংশোধনীর প্রস্তাব  নীতিগত অনুমোদন

ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রণীত ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) সংশোধনীর প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই অনুমোদনের ভিত্তিতে শিগগিরই ড্যাপ (২০২২-৩৫) গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

গতকাল রোববার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে রাজউক প্রণীত ড্যাপ বাস্তবায়ন মনিটরিং ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধনীর সুপারিশ প্রণয়নসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ড্যাপ সংশোধনীর প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ; স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী; সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম; বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ফারজানা মমতাজ; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম; আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড্যাপের ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) ও জনঘনত্ব, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ও কৃষিজমি সংরক্ষণসংক্রান্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে পরিবেশগত সংবেদনশীলতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিধান সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, রাজউক এলাকার প্রায় সব জায়গায় ফার ও জনঘনত্ব বাড়ানো হবে। আগে বিদ্যমান ড্যাপে (২০২২-৩৫) কৃষিজমিতে সীমিত পরিসরে নাগরিক সেবা নির্মাণের অনুমতি ছিল। তবে নতুন সংশোধনীতে তা বাতিল করা হয়েছে।

বিদ্যমান ড্যাপে (২০২২-৩৫) উল্লিখিত মুখ্য জলস্রোত ও সাধারণ জলস্রোত পৃথকভাবে থাকলেও নতুন সংশোধনীতে তা একত্রিত করে ‘বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এই এলাকায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। পাশাপাশি টিওডি (ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট), রিজেনারেশন এবং ব্লকভিত্তিক উন্নয়নকে উৎসাহ দিতে ফার বৃদ্ধির সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (২০২০) ও ড্যাপের (২০২২-৩৫) সমন্বয় করে শহর উন্নয়নের প্রাবল্যতার সঙ্গে যুগোপযোগীকরণের লক্ষ্যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনীর অনুমোদন করেছে। ইমারতের ব্যত্যয় নিয়ন্ত্রণে (যেমন অতিরিক্ত ভয়েড স্পেস, সেটব্যাক, ভূমি আচ্ছাদন, জনঘনত্ব ইত্যাদি) বিধিবিধানের সংশোধন, পরিমার্জন ও বিল্ডিং কোডের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।

এ ছাড়া দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নির্মাণ অনুমোদনকালে স্থাপত্য নকশার পাশাপাশি কাঠামোগত ও অন্যান্য নকশা অনুমোদনের বিধান রয়েছে। গ্রাহক হয়রানি লাঘবে বিশেষ ও বৃহদায়তন প্রকল্পের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না, নির্মাণ অনুমোদন সুপারিশ পাওয়ার পরে অনুমোদন ফি জমা দিতে হবে। ভবন নির্মাণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে পাঁচ কাঠা বা তদূর্ধ্ব আয়তনের জমির জন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্রিন বিল্ডিং প্রণোদনা প্রদান, আপিল কমিটি গঠন ইত্যাদি বিষয় সংযোজন বা পরিমার্জন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী, পরিবেশবাদী সংগঠনÑ সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে ড্যাব সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন সংশোধনীর কারণে রাজধানীর ধানমন্ডি ও গুলশান এলাকা বাদে প্রায় সব এলাকায় ভবন এক থেকে দোতলার বেশি করা যাবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, একই বিষয়ে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ড্যাপ রিভিউ-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে পুনরায় যাচাই করে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনার আলোকে রাজউক ও মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কমবেশি ৩৫টি সভা করে চূড়ান্ত খসড়া গতকাল সভায় উপস্থাপন করা হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!