জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে এক হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার দুদক এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়। এতে বলা হয়, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে এনানটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে ঋণ দেওয়া হয়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ঋণের নামে ৫৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা সুদ-আসলে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এনানটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইউনুছ বাদল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী, সাবেক নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদসহ মোট ২৬ জন। এর আগে, চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলাটি করে দুদক। এরপর অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্যাংক থেকে মর্টগেজ নেওয়া জমিতে বাস্তবে কোনো ভবন বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও ঋণগ্রহীতা মালিক হওয়ার আগেই ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় স্থাপনাবিহীন জমি ক্রয় করে তা প্রায় ৬ হাজার ৯৯ মিলিয়ন টাকায় মূল্যায়ন দেখিয়ে বিআরপিডি সার্কুলার নং ০৫/২০০৫ এবং এমওইই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের মাধ্যমে মোট ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এদিকে তদন্তকালে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক মো. আবু তালহা, জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. আব্দুল জব্বার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগমকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন