সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ব্যবসার জন্য জরুরি হচ্ছে ‘ফিল গুড ফ্যাক্টর’। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ব্যবসার ক্ষেত্রে ‘ফিল গুড ফ্যাক্টর’ দিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যদি দেখেন স্থিতিশীলতা নেই, বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ নেই, তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহী হবেন না। স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি থেকে বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে তিনি বলেন, আগে ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ হবে, এরপর এলডিসি থেকে উত্তরণ।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গত রোববার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান সংকট ও পুনরুদ্ধারের পথ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ)।
আমীর খসরু বলেন, বিএনপির স্লোগান অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন। অর্থনীতিতে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ থাকে কারো হাতে, সে ক্ষেত্রে অর্থনীতি বিকশিত হবে না। অর্থনীতিতে যত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবেন, তত বেশি দুর্নীতি হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ওভার রেগুলেডেট কান্ট্রি। এতে অসুবিধা ব্যবসায়ীদের আর সুবিধা হচ্ছে চোরদের। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভিয়েতনাম কেন অর্থনীতিতে আমাদের ছাড়িয়ে গেল? তারা ডিরেগুলেট করেছে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশনের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের মৌলিক বিষয়গুলো এখনো সুরাহা হয় নাই। আমাদের দেশে গণতন্ত্র উত্তরণ হয় নাই। ১৫ মাস ধরে অনির্বাচিত সরকার, এখনো আমরা ঝুলে আছি। এই সরকার যে সবকিছু খারাপ করছে, তা বলছি না। তবে সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নাই, জনগণের কাছে জবাবদিহি নেই। এ কারণে দেশের অর্থনৈতিক খাতে কোনো শৃঙ্খলা নাই।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দেশে কোনো শেয়ারবাজার আছে? দেশে ব্যবসার কোনো পলিসি আছে? ব্যাংকিং সেক্টরে কোনো স্থিতিশীলতা আছে? এমতাবস্থায় এলডিসি উত্তরণ করে কী লাভ? আমাদের অবস্থান ক্লিয়ার, আমরা আগে ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করব, তারপর এলডিসি নিয়ে ভাবনা।’
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও গার্মেন্ট সেক্টরের অগ্রগতির জন্য যা করার, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই করে গেছেন। পরবর্তীতে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করেছেন। দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে নির্বাচিত সরকার দরকার।’ তিনি বলেন, এত মানুষ চাকরিচ্যুত হচ্ছে। ফ্যাক্টরি পুড়ছে, শ্রমিক আন্দোলনÑ সব মিলিয়ে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশি বায়ার ও বিনিয়োগকারীদের কাছে শেষ।
বিজিবিএ প্রেসিডেন্ট মোফাজ্জল হোসেন পাভেলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল, বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ, জেএফকে ফ্যাশনসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কফিল উদ্দিন, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক শোভন ইসলাম, বিকিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ, বিকিএমইএর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, অর্থনীতিবিদ এম এস সিদ্দিক, বিজিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুর রহমান ফরহাদ, সেক্রেটারি জেনারেল জাকির হোসেন প্রমুখ।
        
                            
                                    
                                                                
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন