সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা হত্যাচেষ্টা ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তারের ঘণ্টা কয়েক পরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামিন পেয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান তার জামিনের আদেশ দেন। হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা তার মক্কেলের জামিন পাওয়ার তথ্য দেন।
আদালতের আদেশের পর বাকি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে কারামুক্ত হন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। একটি মোটরসাইকেলে করে দ্রুত আদালত প্রাঙ্গণ ছাড়তে দেখা যায় তাকে। গতকাল দুপুরে হাতিরঝিলের উলন এলাকায় হিরো আলমের অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
পরে জামিনের শুনানিতে হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা জামিন চেয়ে আবেদন করে বলেন, গত ১ জুলাই হিরো আলম পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত স্থায়ী জামিন পান। চারটি ধার্য তারিখে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে তার জামিন বাতিল হয়। শনিবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেছে। এ রকম ভুল (আদালতে অনুপিস্থিত থাকার) আর হবে না তুলে ধরে জামিন প্রার্থনা করে আদালতে তিনি দাবি করেন, হিরো আলম কাউকে মেরেছে বা কুৎসা রচনা করেছে এমন উদাহরণ নেই। ‘আলম (হিরো আলম) মার খেতে খেতে এ পর্যন্ত এসেছে। জামিন বাতিল হতে পাঁচটা কারণ থাকতে হয়। এর একটাও নাই। বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।’
শুনানিকালে রিয়া মনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তার বক্তব্য শুনতে চান। তখন রিয়া মনি বলেন, ‘হাজারটা মিডিয়া ডেকে আমাকে তালাক দেয়। আমাকে বাজে মেয়ে বলে।... তাহলে কীভাবে আমার সঙ্গে চার বছর সংসার করল।’ এ সময় কাঁদতে কাঁদতে রিয়া মনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার তো বাঁচার অধিকার আছে। নৃশংস আচরণ করেছে আমার সাথে, সাইবার বুলিং করছে।’
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে ২০০ টাকা মুচলেকায় হিরো আলমকে জামিনের আদেশ দেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন