শীতকাল এলেই অনেকের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডা বাতাস, শুষ্ক পরিবেশ এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এই সমস্যার প্রধান কারণ। শীতকালে শ্বাসকষ্টের সাধারণ কারণ এবং প্রতিকার ও প্রতিরোধ জানা থাকলে খুব সহজে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফারুক আহমেদ।
শীতকালে শ্বাসকষ্টের সাধারণ কারণ
শীতকালে কিছু সাধারণ কারণে প্রায়ই শ্বাসকষ্ট হয়। কারণগুলো হলো:
অ্যাজমা : ঠান্ডা বাতাস, শুষ্ক বাতাস এবং ভাইরাসের সংক্রমণ অ্যাজমা রোগীদের জন্য শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে।
সর্দি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস : সর্দি ও ফ্লু হওয়ার ফলে শ্বাসনালি ফুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
সাইনাসের সংক্রমণ : শীতকালে সাইনাসের সমস্যা বেড়ে যায় এবং এটি শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
ব্রঙ্কাইটিস : ব্রঙ্কাইটিস হলো শ্বাসনালির সংক্রমণ, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।
ধুলাবালি ও পরাগ : শীতকালে ঘরের ভেতরে ধুলাবালি জমে থাকতে পারে এবং এটি অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
হৃদরোগ : হৃদরোগের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
শীতকালে শ্বাসকষ্ট থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায়
ডাক্তারের পরামর্শ নিন : যদি আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ওষুধ নিন : ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত ওষুধ সেবন করুন।
ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখুন : ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখার জন্য বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করুন।
ধূমপান পরিহার করুন : ধূমপান শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
গরম পানি পান করুন : গরম পানি পান করলে শ্বাসনালি খুলে যায় এবং শ্বাসকষ্ট কমে।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন : ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
গরম পোশাক পরুন : শরীর গরম রাখার জন্য গরম পোশাক পরুন। শীতকালে বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন।
সুষম খাবার খান : সুষম খাবার খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
পর্যাপ্ত ঘুমান : পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, শ্বাসকষ্টের সাথে জ্বর, কাশি বা বুকে ব্যথা হয়। শ্বাসকষ্ট ক্রমশ বাড়তে থাকে। শ্বাসকষ্টের সঙ্গে অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়। শীতকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকেরই হয়। তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

