ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

বললেন দুদক চেয়ারম্যান

কেউ চাপ প্রয়োগ করলে তাদের নাম প্রকাশ করে দেব

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০২:১৮ এএম

দুর্নীতির তদন্ত বা অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত করতে আগামীতে কেউ চাপ প্রয়োগ করলে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘যারা চাপ প্রয়োগ করবে, আগামীতে তাদের নাম প্রকাশ করে দেব।’

গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদকের সম্মেলনকক্ষে সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ ও সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম উপস্থিত ছিলেন।

দুদক এখনো নখদন্তহীন বাঘ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দাঁত যতটা তীক্ষè হবার দরকার ছিল, ততটা তীক্ষè এখনো হয়নি। নখও পুরোপুরি গজায়নি। মাঝামাঝি একটা পর্যায়ে আছে।’

দুর্নীতি প্রতিরোধে সফল দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশটির প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান নিজেরাই দুর্নীতি নিরোধক। এর বাইরে তাদের আমাদের মতো একটা প্রতিষ্ঠান আছে, যার কাজ হচ্ছে দেখাশোনা করা, খবরদারি করা।’

সঠিক সময়ে সুন্দর নির্বাচন হবেÑ এমন আশা প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভোটে কালো টাকার দৌরাত্ম্য আগে দেখেছি।’ দুর্নীতিবাজদের শাস্তি বাড়ানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, ‘আপনি ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করলেন। ১ কোটি টাকা এদিক-সেদিক করলেন, ৯ কোটি টাকাই লাভ। তার চেয়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য ১০০ কোটি টাকা দ- দেওয়া হলে সেটা আর করবে না।’

নির্বাচনি হলফনামা ইসির আগে চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন,  ‘যখন সম্পদ বিবরণী (হলফনামা) দাখিল করা হয়; দাখিল করা ও চূড়ান্ত করার মাঝামাঝি সময় খুবই কম। সরকার যদি ঘোষণা দিত, নির্বাচনি হলফনামা আগে দুদককে দিতে হবে; তাহলে আমরা একটা টাস্কফোর্স গঠন করতাম। আমরা হয়তো সবারটা করতে পারতাম না। এই দেশের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। বড় বড় সন্দেহভাজনের বিষয়ে আগে পরীক্ষা করে ইসিকে দিতে পারতাম।’

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় খুবই কম। আপনারা হুইসেল ব্লো করবেন, আমরা আমাদের শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে সেটা পরীক্ষা করার চেষ্টা করব।’

নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে হলফনামা পরীক্ষা করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ কালো টাকার ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পদ খুব সীমিত। লোকবল সীমিত। আমরা ৫-৭ জনের একটা টিম গঠন করতে পারি কি না, সেটা দেখব।’

উপদেষ্টাদের পিএসের দুর্নীতির অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের চারটা ফাইল ছিল। সেগুলোর অনুসন্ধান শেষ হওয়ার পথে, কাজগুলো সম্পন্ন হয়নি।’