রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৭ নভেম্বর রোববার এই কর্মসূচি পালিত হবে।
গতকাল বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই আজ (গতকাল) অথবা আগামীকালের (আজ) মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ শেষ করে অধ্যাদেশ ঘোষণা না করলে আগামী রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, এভাবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, অধ্যাদেশ আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা ওইখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী অবস্থান করব।’
পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা রাস্তায় তেমন কোনো কর্মসূচি করিনি। সর্বশেষ যেহেতু আমাদের অভিভাবকেরা সচিবালয়ে বসে থাকেন, কাজেই আমাদের কর্মসূচি হবে আমাদের অভিভাবকদের প্রাণের কাছে, হৃদয়ের কাছে শিক্ষা ভবন প্রাঙ্গণে। আমরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৭ নভেম্বর বিগত দিনের মতো, যতক্ষণ পর্যন্ত অধ্যাদেশ না আসছে ততক্ষণ অবস্থান করব। সেখানে প্রয়োজনে রান্নাবান্না হবে, তাও আমরা সেখানেই থাকব।’
এর আগে গতকাল দুপুর সোয়া ১টার দিকে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে ঢাকা কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। আজিমপুর মোড় ঘুরে দুপুর ২টার পর ঢাকা কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের কারণে মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী যাত্রী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানবাহন চলাচল আবার শুরু হয়।
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে। তবে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা নিজ নিজ দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদ’ ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত ‘স্কুলিং পদ্ধতি’ বাতিল ও একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। কলেজগুলোর ¯œাতক পর্যায়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়েছেন।

