- অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ
খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় এক মাসের ব্যবধানে ফের ঊর্ধমুখী হয়েছে মূল্যস্ফীতির পারদ। গত নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা অক্টোবরে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ছিল। নভেম্বরের মূল্যস্ফীতির এ হার দিয়ে বোঝায়, গত বছর নভেম্বর মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা চলতি বছরের নভেম্বরে পেতে খরচ করতে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৯ পয়সা।
গত বছর জুলাই মাসে আন্দোলনের ধাক্কায় সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছিল। কিছুটা কমে নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তা কমতে কমতে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা ৩৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো গতকাল রোববার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে নভেম্বরে আবার মূল্যস্ফীতি বাড়ার তথ্য দিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য ঠিক করে সরকার। সেই লক্ষ্য পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের উচ্চ হার ধরে রেখেছে। তবে কয়েকটি খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার ব্যবধান আবার বেড়ে গেল।
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি অক্টোবর মাসের ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ থেকে বেড়ে নভেম্বরে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ হয়েছে। অক্টোবর মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ তা নভেম্বরে খানিকটা কমে ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে। নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৬ শতাংশে যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি অক্টোবর মাসের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে বেড়ে নভেম্বরে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি বাড়ায় খেটে খাওয়া মানুষের পকেটের ওপর চাপ বাড়লেও মজুরি হারের সূচকে কোনো সুখবর নেই। সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার যেখানে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, সেখানে নভেম্বরে মজুরি বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর অর্থ হলো, জীবনযাত্রার ব্যয় যে হারে বাড়ছে, মানুষের আয় সেভাবে বাড়ছে না।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন