কলিংবেলে আঙুল রাখি নিয়মিত ভুল করি।
দরজায় তাকিয়ে দেখি নিঃসঙ্গ তালা ঝুলন্ত তালা তাকিয়ে আমাকেই দেখে, তবু এই ভুল বার বার হয়,
হয়ে যায় মনের অজান্তে দূরত্ব হাতের তালুর রেখায়;
গণিতের নির্ভুল ফলেও একঝাঁক ভুলের হানা
ভুলের মাঝেও খুঁজে পাই তোমাকে, তুমিময় ঘর আলোর ছটায় দিনের ঘুম কেটে যায়Ñ সেদিন তোমাকে রেখে চোখের ঘুম চুরি করে নীরবে চলে গেছÑ তোমার শহরে, তোমার শহর মানে আমার বেড়ে ওঠার গন্তব্য!
চোখে ঘুম নেইÑ তুমি আছ বলেই জেগে থাকি রাতভর, রাত বুঝি না বুঝি তোমার চোখে আমার সকাল আলো-অন্ধকারে দৃশ্যত তোমাকেই দেখি;
দূরে যাচ্ছÑনিকটের ভানে, চোখে রাখ জ্বলন্ত প্রেম।
দৃশ্যতÑ রাতের হাওয়া জানালার পর্দায় আদর দেয়Ñআদরে নড়ে ওঠে হলুদ রঙ, কী অদ্ভুত সব রাত ছুঁয়ে
যায় চোখ হৃদয়ের গভীর মায়ায় তুমি হও অশান্ত;
আমার অসুখ বেড়ে যায়, অসুখ বেড়ে হয় মহামারি
অসুখের স্রোতেই ঝড় থেমে যায়Ñ ঝড়ের পরে তোমাকে ভীষণ এলোমেলো দেখায়, এমন ক্লান্ত তোমাকে কখনো দেখিনিÑ তোমাকে এলোমেলো চুলে ভীষণ সুখী মনে হয়, ক্লান্ত শরীরে বলে ওঠÑএত সুখ কেন, সুখের গভীরে যেতে চাই, ভীষণ গভীরে;
তোমার গভীরতায় সুখ জমা রাখি, দুঃখ উত্তোলন করে জীবনের ড্রয়ারে যতেœ রাখি, আমি মৃত্যুর মতো অভাবীÑতুমি ভীষণ যত করে দুঃখ দিও
আমি তোমার অসুখে থাকি দুঃখ পেতে;
অসুখে রেখে দুঃখ ধুতে বিছানা ছাড়- ঘরের মেজে ঝরা চুলের দখলে রেখে সুখের হাওয়াও ভেসে যাও।
ছুটির আবেদন মুঞ্জুর না হলেও চলে যাও ছুটিতে;
আবারও ভুল করি, কলিংবেলে আঙুলের চাপ!
ভুলের নামতায় তোমার হিসাব ঠোঁটের দখলে। দূরে যাও
তবু আমাকে দখলমুক্ত করতে পার না, দূরে থেকেও বুকের পাঁজরে রাখ নিজস্ব ছায়া, আমার তীব্র মায়া; তোমার চোখে চোখ পড়লেই তোমার প্রথম বর্ণ ভুলে যাই, ভুলে যাই বেদনার নামতা!
মায়ার আঁচলে রেখে দিও তোমার নিজস্ব তালার চাবি।
অথবা সময় করে বা-হাতের তালুতে যতœ করে নামতা লিখে রেখ, লিখে রেখ বুকের পাঁজরের
প্রথম বর্ণটি- নামতার রিদমে বর্ণটিও মুখস্থ রাখতে
সাধনা করতে চাই। তবুও ভুলের নামতায় তোমার হিসাব ঠোঁটের দখলে রেখ না, রঙধনু বিকেল হৃদয়ের আকাশে জমা রেখ মিষ্টি বালিকা