৫২ বছর বয়সে দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলু। সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হলেও ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন তিনি। তবে এতে হতাশ না হয়ে আবারও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই জনপ্রতিনিধি।
দেলোয়ার হোসেন দুলু বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। তিনি করমদোশী গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন দুলু। ১৯৮৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি এবং ১৯৮৮ সালে অষ্টম শ্রেণিতে জামনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। এরপর ১৯৯০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও তৎকালীন এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কৃত হন। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি এবং সেখানেই থেমে যায় তার শিক্ষাজীবন।
পরবর্তীতে ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন দুলু। পরিবারের অন্য সদস্যরা উচ্চশিক্ষিত হলেও নিজে পড়াশোনা শেষ করতে না পারার আক্ষেপ ছিল তার মনে। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পান তিনি।
এরপর রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার উমরগাড়ী দারুল খায়ের দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেন। সব বিষয়ে ভালো ফল করলেও ইংরেজিতে ফেল করেন।
দেলোয়ার হোসেন দুলু বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি মেধাবী ছিলাম। চেষ্টা করেও এবার ইংরেজিতে পাস করতে পারিনি। তবে হাল ছাড়িনি। আগামীবার আবার পরীক্ষায় বসে পাস করব ইনশাআল্লাহ। সবার দোয়া চাই।’
স্থানীয়ভাবে তার এই প্রচেষ্টা প্রশংসা কুড়িয়েছে। শিক্ষার প্রতি এমন উদ্যোগ অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
আপনার মতামত লিখুন :