- স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে চেয়ার ছেড়ে দিতে অনুরোধ মহিউদ্দিন রনির
স্বাস্থ্য খাত সংস্কারসহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এ দাবিতে আজ বুধবার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীদের অনশন চলবে বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিমানবন্দর থানাধীন শহরের নথুল্লাবাদ এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানান সংগঠক মহিউদ্দিন রনি।
এর আগে গত রোববার অনুরূপ কর্মসূচি পালন শেষে সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে বরিশালে আসা এবং শেবাচিম হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়সীমা অতিক্রম হয়ে গেলেও সরকারের তরফ থেকে কোনো আশ^াস দেওয়া হয়নি। তবে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে হাসপাতালকে অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্ত করাসহ নিরাপদ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে তিন মাসের সময় চেয়েছেন।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠক রনি জানান, স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং শেবাচিম হাসপাতালে অনিয়ম বন্ধ করাসহ ৩ দফা দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে বরিশালে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ^াস দেওয়া হয়নি, ফলে বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করার পাশাপাশি গত রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসা এবং শেবাচিমের দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয়নি, এরপরে দুই দিন পেরিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কারসহ শেবাচিম হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন মহিউদ্দিন রনি।
এর আগে গত সোমবার এ যৌক্তিক দাবি নিয়ে শেবাচিমের সামনে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করে। গতকাল এ সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে উন্নীত হয়েছে।
২০২২ সালে রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আলোচনায় আসা রনি জানান, আজ শেবাচিমে অনশনকারীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সড়ক অবরোধ কর্মসূচিও চলবে। এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে না আসা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় ষষ্ঠ দিনের মতো নথুল্লাবাদ এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করলে সড়কের দুই পাশে কয়েকশ যানবাহন আটকে যায়, যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। দুপুরের দিকে বরিশাল সদর রোডও অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। বিকেল ৫টার দিকে সেখানে সাংবাদিক সম্মেলন করে ছাত্র-জনতা এ দাবির পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকার ঘোষণা দেন।