- টার্গেট নির্বাচন বানচাল ও হাসিনাকে ফেরানো
- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত
- সরকারকে ব্যর্থ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত
- অনলাইন-অফলাইনে নিয়মিত মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন
- বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তথ্য পাচার করছেন
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক বছর হয়ে গেলেও থেমে নেই ষড়যন্ত্র। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দীর্র্ঘ প্রতীক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরার পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সুবিধাভোগী ও গণহত্যায় জড়িত সাবেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী গোপনে অফলাইন-অনলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরতরা গোপনে তথ্য পাচার করছে সাবেকদের কাছে। দেশ ও সরকারবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার যোগসূত্রও রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত এক বছরের সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া একাধিক নাশকতার ছক ভ-ুল করে দিয়েছে অধ্যাপক ড. ইউনূস সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সর্বশেষ ঢাকায় গোপন বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীতে কর্মরত মেজর সাদিকুল হক সাদিককে সেনা হেফাজতে নেওয়ার তথ্য জানায় সেনাসদর। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতি হওয়া সরকারের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বৈঠকে বর্তমানে কর্মরতরাও অংশ নিচ্ছেন।
তবে তাদের অধিকাংশ অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কলে যুক্ত হন, ঠিক যেমন বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা যুক্ত হন। সিগন্যাল অ্যাপ, টেলিগ্রামঅ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগলের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি গোপন বৈঠকগুলোতে যুক্ত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারের ভেতরে যারা আওয়ামী লীগের হয়ে এখনো কাজ করছেন তারা মূলত তথ্য পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ভারতে গোপন অফিস ভাড়া নিয়ে দেশে আত্মগোপন বা সরকারের মধ্যে থাকাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন। ভারতে বসে শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বিদেশি প্রভুদের এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার রসদ নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। ড. ইউনূস সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী রাত-দিন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতে কাজ করছে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
৫ আগস্ট-পরবর্তী দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বৃহত্তর ও ক্ষুদ্র পরিসরে সাবোটাজ করতে গোপন পরিকল্পনায় যুক্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আসা ঠেকানো, ছাত্র আন্দোলনের ভিত্তির ওপর গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির উত্থান ও ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে জঙ্গি কানেকশন, দেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর প্রমাণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা, শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দেওয়া, আন্দোলনের নামে রাজধানীতে নাশকতা ও সাইবার স্পেসে মিথ্যা তথ্য, গুজব ও উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে কাজ করছে। সাবেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা গোপন ষড়যন্ত্রে যুক্ত তাদের সঙ্গে ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিদেশে আত্মগোপনে থাকা নেতারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি প্রতিবেশী একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের তথ্যও পাওয়া গেছে। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব হলোÑ আর্থিক সহায়তা এবং অস্ত্র সরবরাহ করা।
অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসর বা চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা এবং নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পুনরায় একত্র হয়ে গোপন বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। সাবেক প্রভাবশালী আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সাবেক সদস্যরা এসব গোপন বৈঠকগুলোতে সরাসরি বা অনলাইনে যুক্ত হচ্ছেন। আমলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার পলাতক শীর্ষ কর্মকর্তারা পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। এসব বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে নানা নির্র্দেশনা নিচ্ছেন। পরবর্তীতে নির্দেশনা মোতাবেক নাশকতায় জড়িয়ে পড়ছেন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতি হলে দেশের মানুষ সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে, এমনটাই বিশ^াস নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দমতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে মুখিয়ে আছে। গণহত্যায় সরাসরি জড়িত থাকায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সবধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বিচার শেষ না পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলেও দলটির নেতাকর্র্মীরা বিদেশে আত্মগোপনে থেকেও সাইবার জগতকে কাজে লাগিয়ে দেশের ভেতরে থাকাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। বিদেশে বসেই নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। ২০২৪-এর আগস্টে লুট হওয়া মজুতকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ এবং সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ অস্ত্র আওয়ামীপন্থি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত নাশকতা করছেন। আগামীতে তারা আরও বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে প্রস্তুত হচ্ছে।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হওয়ায় বিএনপি ক্ষমতায় যাবেÑ এমনটাই বিশ^াস সাধারণ মানুষ ও বিশ্লেষকদের। দেশের মানুষের কাছে বিএনপির প্রতি খারাপ ধারণা তৈরি করতে দলটির ইমেজ নষ্টে কাজ করছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অনুগত অনুসারীরা।
বিশেষ করে সাইবার জগতে বিএনপি ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছে। দীর্র্ঘদিন যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক নির্বাসনে থাকা তারেক রহমান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। একাধিক সূত্র মতে, তারেক রহমানের দেশে আসা ঠেকাতে সাবেক-বর্তমান সরকারি কর্মকর্তারা অব্যাহত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সরকারের ভেতরে থেকে তারা সাবেকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরিতে সচেষ্ট। অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসানো হবেÑ এমন পরিকল্পনার কথা মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে বিশ^াসযোগ্য করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোপন বৈঠকগুলোতে বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাইবার জগতের মাধ্যমে যুক্ত করা হচ্ছে। যাতে করে তারা নাশকতায় যুক্ত হতে আগ্রহী হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত দেড় দশকে হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনকে যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সহায়তা করেছেন, তারা একজোট হয়ে বর্তমান সরকার, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন, বিএনপি ও ইসলামি দলগুলোর বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে রাজনীতির মাঠ অস্থিতিশীল করতে চায়। বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নিয়ে তারা চিহ্নিত অপরাধীদের দিয়ে নাশকতা তৈরি করে যাচ্ছে। আগস্টের পর যেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তারা ফের ফিরতে শুরু করেছে। সারা দেশে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, হামলা ও নাশকতায় আওয়ামী লীগের যোগসূত্র পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। সংঘর্ষের ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
একাধিক সূত্রমতে, গোপন বৈঠকগুলোতে পরিকল্পনা করা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পর সারা দেশ থেকে লোকজন ঢাকায় সমবেত হবেন। তারা শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবেন। শেখ হাসিনাকে ফেরাতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা এবং বিদেশে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশ^াস দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম দেশবিরোধী চক্রান্ত ও নাশকতা রুখতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং সাইবার জগত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। দেশব্যাপী চিরুনি অভিযানে প্রতিদিন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও অনুসারী গ্রেপ্তার হচ্ছেন। পুলিশের সবকটি ইউনিটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাবও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী যেকোনো যড়যন্ত্র কঠোরভাবে দমন করা হবে। ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট রিমান্ড শুনানিতে আদালতে মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দাবি করেন, অনুষ্ঠানটি আগে থেকেই আয়োজিত ছিল এবং তিনি স্বামীর সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলেন। আদালতে তার ভাষ্য, কেবি কনভেনশন হলে এএসপি পরিচয়ে অন্য কেউ ঢুকেছে। কিন্তু আমার নামে দোষ চাপানো হচ্ছে। সেখানে আগে থেকেই সবকিছু অ্যারেঞ্জ করা ছিল। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে গিয়েছিলাম। ওখানে কী ধরনের কাজ হচ্ছিল, সে সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। অন্যদিকে কেবি কনভেনশন সেন্টারটি যার নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, সেই শামীমা নাসরিন শম্পা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের পদে আছেন। তাকে গত ৮ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তথ্য বলছে, সুমাইয়া ফেসবুকের ‘ওডিবি-এম-১৭০১’ বা অপারেশন ঢাকা ব্লকেড নামের গ্রুপের অন্যতম অ্যাডমিন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের পাঠানো তথ্য গুগল শিটে এন্ট্রি দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইন সিগন্যাল অ্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগলের মাধ্যমে সবাইকে একত্র করার চেষ্টা চলত এই গ্রুপে। তদন্তে জানা গেছে, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরার কেবি কনভেনশন সেন্টারের আগে সুমাইয়া ও তার স্বামী পূর্বাচলের সি-সেল রিসোর্ট, কাঁটাবনের একটি রেস্টুরেন্ট, মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা এবং উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের সুমাইয়ার ফ্ল্যাটে একাধিকবার বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন।
সর্বশেষ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে ভারতে আওয়ামী লীগের গোপন অফিস ভাড়া নেওয়ার তথ্য উঠে আসায় দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর পরপরই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাশকতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরও বেশি তৎপর হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন