বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৪:৩৭ এএম

দালালের ফাঁদে ভারতে, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফিরল ৪ তরুণী

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৪:৩৭ এএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কচাকাটা সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে যাওয়া চার তরুণীকে আটক করে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেদার সীমান্তে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ ব্যাটালিয়নের কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।

ফেরত আসা তরুণীরা হলেন— পাবনার আঁখি খাতুন (২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদিবা আক্তার (২৩), নেত্রকোনার শিরিনা আক্তার (২৬) এবং শরিয়তপুরের তাসমিয়া আক্তার (১৮)। 

তারা ঢাকার বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর মধ্যে তিনজন একটি বিউটি পার্লারে এবং একজন তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

বিজিবির কাছে হস্তান্তরের পর আঁখি জানিয়েছেন, ঢাকার বাড্ডার জান্নাত নামের এক পরিচিত নারী প‘ভালো কাজ’ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখান তাদের। কাউকে কিছু না জানিয়ে ২২ নভেম্বর তারা সিলেটের জাফলং সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। ওপারে পৌঁছানোর পর একটি প্রাইভেট কারে করে নিয়ে যাওয়া হয় আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানে পরদিন পুলিশ তাদের আটক করে।

আঁখি বলেন, ‘আমরা ভালো কাজ আর ভালো জীবনের লোভে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কাউকে না জানিয়ে সীমান্ত পার হওয়া উচিত হয়নি।’

বিজিবি–বিএসএফের পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সীমান্তের মেইন পিলার ১০১৫–এর কাছে। বৈঠকে বিজিবির নেতৃত্বে ছিলেন হাবিলদার শাহজাহান আলী এবং বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ইনস্পেক্টর ধীরেন্দ্র কুমার।

বিজিবি তরুণীদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার পর সন্ধ্যায় তাঁদের কচাকাটা থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান কেদার কোম্পানির হাবিলদার শাহজাহান আলী।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, চারজন বাংলাদেশি নারীকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়ার পর আমরা তাঁদের থানায় নিয়েছি। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্বজনরা এসে নিয়ম অনুযায়ী তাদের জিম্মায় নিয়ে যাবেন।

পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা জানান, দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!