গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল কর্পোরেট শাখার লকারে কেবল একটি ছোট পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখার দুটি লকারে ৮৩১ দশমিক ৬৭ ভরি (৯৭০৭ দশমিক ১৬ গ্রাম) স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লকার খোলা হয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
দুদকের অনুসন্ধান দল ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে লকার খোলার অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন। আদালতের নির্দেশনায় একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ ব্যাংকের বুলিয়ন শাখার স্বর্ণ বিশেষজ্ঞ, এনবিআরের কর গোয়েন্দা এবং সিআইসি মনোনীত দুই কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন।
পুরোনো নির্দেশনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার পূবালী ব্যাংকের লকার নম্বর ১২৮ (শেখ হাসিনার নামে) থেকে কেবল একটি খালি পাটের ব্যাগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের লকার নম্বর ৭৫১/বড়/১৯৬ (শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে) থেকে আনুমানিক ৪,৯২৩ দশমিক ৬০ গ্রাম এবং লকার নম্বর ৭৫৩/বড়/২০০ (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সিদ্দিকীর নামে) থেকে ৪,৭৮৩ দশমিক ৫৬ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
দুদক জানায়, স্বর্ণালঙ্কারগুলো লকারে সংরক্ষিত চিরকুট ও বর্ণনার ভিত্তিতে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের—শেখ রেহানা, সাইমা ওয়াজেদ পুতুল, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ববি—সংশ্লিষ্ট হতে পারে। প্রাথমিক ইনভেন্টরি তৈরি করে মালামাল শাখা ব্যবস্থাপকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘ইনভেন্টরি যাচাই, মালিকানা নির্ধারণ এবং স্বর্ণের মূল্যায়ন শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মালিকানা ও আইনগত দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা হবে।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন