অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ঋণখেলাপিরা অংশ নিতে পারবেন না। পাশাপাশি নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। তবে এটার বাস্তবায়ন পুরোপুরি নির্ভর করবে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ইপি-পেনশন উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করা। কালো টাকার ক্ষেত্রে দুইটা বিষয় হলোÑ উৎস আর প্রসেস। উৎসটা কিন্তু আগের চেয়ে মোটামুটি বন্ধ হয়েছে।
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এটি নিশ্চিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ও সহায়তা করবে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আগে তো ব্যাংকের মালিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, নিউজপেপারের মালিক, ফ্ল্যাটের মালিক সব একজনই। কিন্তু এখন এটা হচ্ছে না। মোটামুটি এখন একটু চেক অ্যান্ড ব্যালান্স হচ্ছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সব সময় বলিÑ অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। রাজনীতিবিদরা যদি উৎসাহ দেন, টাকা-পয়সা দিয়ে নমিনেশন দেন, ভোট দেন, তাহলে আমি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তো কিছুই করতে পারব না।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লজিস্টিকের জন্য সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের একজন নেতা নির্বাচন হবে না বললেই তা বন্ধ হয়ে যাবে না। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হবে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ভালো একটি নির্বাচন দিতে চায় সরকার। এটা করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।