মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জুলাই মাসে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে শুল্ক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নরওয়ের ব্যাবসায়িক দৈনিক ডাগেনস নেরিংস্লিভের বরাত দিয়ে রয়টার্স গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল, পাকিস্তান, কম্বোডিয়াসহ কয়েকটি দেশ শান্তি চুক্তি বা অস্ত্রবিরতি করিয়ে দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে। ট্রাম্প নিজেও বলেছেন, তিনি নরওয়েজীয় প্রদত্ত এ পুরস্কারের যোগ্য, যা তার আগে হোয়াইট হাউসের চার প্রেসিডেন্ট পেয়েছেন।
পত্রিকাটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ‘যখন অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টোলটেনবার্গ অসলো শহরের পথে হাঁটছিলেন, তখন হঠাৎ করেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ফোন করেন। তিনি নোবেল পুরস্কার চাইছিলেন ও শুল্ক নিয়েও আলোচনা করলেন।’
রয়টার্সকে দেওয়া এক মন্তব্যে স্টোলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ফোনালাপটি মূলত শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ছিল, যা ট্রাম্পের নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে ফোনালাপের আগে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আলোচনার বিস্তারিত বিষয়ে আমি আর কিছু বলব না।’
স্টোলটেনবার্গ আরও জানান, ফোনালাপে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারসহ হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন।
হোয়াইট হাউস ও নরওয়ের নোবেল কমিটি এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি। প্রতিবছর শত শত প্রার্থী মনোনীত হলেও, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নির্বাচন করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। উনিশ শতকের সুইডিশ বিজ্ঞানী ও শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা অনুসারে, নরওয়ের পার্লামেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বিজয়ীদের মনোনীত করে। প্রতিবছরের অক্টোবরে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।
নরওয়ের পত্রিকাটি আরও জানায়, ট্রাম্প স্টোলটেনবার্গের সঙ্গে আলাপে নোবেল পুরস্কারের প্রসঙ্গ তোলার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। গত ৩১ জুলাই হোয়াইট হাউস নরওয়ে থেকে আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমান। স্টোলটেনবার্গ গত বুধবার জানান, শুল্ক ইস্যুতে নরওয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে।