ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিতে আলাস্কায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর বিবিসির।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় প্রথমে ট্রাম্পকে বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুতিনকে বহনকারী বিমানও সেখানে অবতরণ করে।
বিমান থেকে নামার পর ট্রাম্প লালগালিচায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে প্রতিপক্ষ পুতিনকে স্বাগত জানান এবং করমর্দন করেন। এরপর তারা একসঙ্গে লালগালিচায় হেঁটে কিছুক্ষণ আলাপ করেন এবং পরে ‘আলাস্কা ২০২৫’ লেখা মঞ্চে উঠে ছবি তোলেন।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন ঘাঁটিতে ট্রাম্প ও পুতিনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। এটি হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
ক্রেমলিনের প্রত্যাশা, বৈঠকটি অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা চলবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, ‘আপনি ধরে নিতে পারেন, বৈঠক ন্যূনতম ছয় থেকে সাত ঘণ্টা চলবে। আমরা আশা করি, এটি ফলপ্রসূ হবে।’
বৈঠকের সফলতা কীসের ওপর নির্ভর করছে—এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ দেখতে চাই। বৈঠক সফল হবে কি না, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে আমি চাই যুদ্ধবিরতি। আজকেই যদি সেটা না হয়, আমি খুশি হব না। হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চাই।’
ট্রাম্প বারবার ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘রক্তপাতপূর্ণ সংকট’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত সমাপ্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেকে বিশ্বশান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরতে চান বলেও ইঙ্গিত দেন।
তার দাবি, যদি আলাস্কার বৈঠক সফল হয়, তবে শিগগিরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।