সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১২:০২ এএম

দুর্নীতি না হলে সড়ক নির্মাণ  ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে: বললেন সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা 

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ১২:০২ এএম

দুর্নীতি না হলে সড়ক নির্মাণ  ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে: বললেন সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা 

দুর্নীতির কারণে দেশের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হচ্ছে, এটি কমাতে পারলে সড়ক নির্মাণের ব্যয় ৩০ শতাংশ কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল করিম খান। গতকাল রোববার গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা ফাওজুল করিম বলেন, ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর যানজট কমাতে কাজ করবে। এসব মেগাপ্রকল্পে বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় দেশের প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের দেশে দক্ষ প্রকৌশলী না থাকায় বাইরে থেকে লোক এসে সড়ক, রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশে বুয়েট থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ার বের হয়। এটা অনেক লজ্জার বিষয়। সুতরাং বিদেশিদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশে দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির চেষ্টা করতে হবে। এর আগে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের (এন-১০৫) প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে এই অংশ পরীক্ষামূলকভাবে ৩ দিন টোল ফ্রি চালু করা হয়। সড়ক উপদেষ্টা বলেন, আর কতকাল বাইরে থেকে লোক এসে আমাদের সড়ক ও সেতু বানিয়ে দিয়ে যাবে? রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যাবে? রেলের জন্য একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর ওই রাস্তায়। আমি বললাম এটার দরকার নেই। ওখানে একটা রেলের অলরেডি রাস্তা আছে। সেখানে এত হাজার হাজার কিলোমিটার রেলপথ হলো, এখন তোমরা এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে পারবা না? মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। তাহলে আমাদের এত ইঞ্জিনিয়ার থেকে লাভ কী? আমাদের এত প্রকৌশলী থেকে লাভ কী?

ওই জন্যই প্রকৌশলীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রকৌশলীরা এ কারণেই বেকার। বুয়েট থেকে পাস করে একটা ছেলে যখন কেবল মেধাবী ছাত্র হয়, তখন এটা জাতির জন্য লজ্জার। এ জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের বলব, নিজেরাই একটি রাস্তা করে দেখান, নিজেরা একটা পাওয়ার প্লান্ট করে দেখান, নিজেরা একটা ট্রান্সমিশন লাইন করে দেখান। এটাই আমাদের উত্তরণের পথ। আমাদের বিদেশনির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, সেতু মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা একটি মাল্টি মডেল ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান করছি। এ জন্য প্ল্যানের মধ্যে সব কিছুকে একত্র করে দেখব। সড়কপথ দেখব, রেলপথ দেখব, নদীপথ দেখব। আমরা সবগুলোকে একত্র করব। যেখানে যেটার উপযুক্ত, আমরা সেখানেই জোর দেব। যেখানে নদীপথের মুভমেন্ট সহজতর হবে, সেখানে নদীপথের ওপর জোর দেওয়া হবে। যেখানে রেলের যাতায়াতের জন্য সহজতর হবে, সেখানে আমরা রেলের ওপর জোর দেব।

শুধু সড়কের ওপর দিয়ে নির্ভরতা আমাদের কমাতে হবে। আমাদের দেশে তো জায়গা নেই। এই যে ভূমি অধিগ্রহণ, এটা একটা দীর্ঘ এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। এ জন্য আমাদের সড়কের ওপর যে চাপ, এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের দেশের সড়কের নির্মাণ ব্যয় অনেক বেশি, এগুলো কমাতে হবে। আপনারা জানেন, রাস্তাঘাট দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্র। দুর্নীতি কমালে এবং প্রকৌশলে যারা আছেন, তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে করেন, তাহলে ২০-৩০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব। সড়ক খাতে বর্তমানে যে অব্যবস্থাপনা চলছে, এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে। এক হচ্ছে, সড়কের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে হবে। অন্য যেসব যাতায়াতের মাধ্যম আছেÑ রেলপথ, নদীপথ এবং বিমানÑএসবের ব্যবহার বাড়াতে হবে। ঢাকা শহরে বাইপাস ব্যবহার করতে হবে, যাতে বড় বড় শহরকে যানজটমুক্ত করতে পারি। পরে উপদেষ্টা ফিতা কেটে মহাসড়কের টোল প্লাজা ও প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাফিসা আরেফীনসহ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ কিলোমিটার অংশে আংশিকভাবে টোল আদায় শুরু হচ্ছে। টোলের হারÑ বড় ট্রাক (ট্রেলার, ৬-এক্সেল, ১৫-২৫ টন) ৭৪০ টাকা, ভারী ট্রাক (২-৩ এক্সেল, ৭+ টন) ৬১০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫-৭ টন) ৪০০ টাকা, বড় বাস (৩১ সিট বা তদূর্ধ্ব) ৩১০ টাকা, ছোট ট্রাক (৩ টন) ২৬০ টাকা, ছোট বাস (৩১ সিটের নিচে) ২১০ টাকা, মাইক্রোবাস ১৯০ টাকা, পিকআপ, জিপ, রেকার, ক্রেন (৩ টন) ১৮০ টাকা ও সেডান প্রাইভেট কার ১৫০ টাকা।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!