ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের  দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৭:০৪ এএম
হিজাব

হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল বুধবার সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে (ফজিলাতুন নাহার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি তদন্ত চলছে, আশা করি তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে। সে অনুসারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

এর আগে গত মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। 

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির (অস্থায়ী কমিটি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নোটিশে উল্লেখ করা হয়। তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতেও বলা হয়েছে নোটিশে। 

আন্দোলনরত নবম শ্রেণির ছাত্রী রোকাইয়া বিনতে মাজহার বলেন, আমাদের আপা হিজাব পরতে নিষেধ করেননি, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরতে বলেছিলেন। আমাদের শিক্ষকের নামে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমরা আপার পুনর্বহাল, অপপ্রচারকারীদের শাস্তি চাই। 

আন্দোলনরত দশম শ্রেণির ছাত্রী মেহের আফরোজ কনক বলেন, তিনি ছাত্রীদের ড্রেস কোড মানতে বলেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। 

অভিযুক্ত শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার আগে কোনো শোকজ করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, আমি আইনি পদক্ষেপ নেব।