অবশেষে গ্রেপ্তার  চট্টগ্রামের যুবলীগ নেতা বুলবুল

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় করা মামলায় যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে হালিশহর থানাধীন রমনা উচ্চ ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশ। জানা গেছে, বুলবুল পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিস্ফোরক মামলা ছাড়াও ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ চট্টগ্রামে অন্তত ৫টি মামলা রয়েছে। 

পুলিশ ও মামলা সূত্র জানা গেছে, গত বছর ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহরের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন আগ্রাবাদের ছাত্র রাইয়ান। এ সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলন রুখে দিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য নিজ নিজ স্থান থেকে পূর্বপকিল্পিতভাবে রাস্তার আশপাশের গলি ও রাস্তার মুখে অবস্থান করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর আকস্মিকভাবে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপসহ আন্দোলনে অংশগ্রহণ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এলোপাতাড়ি গুলিতে রাইয়ানের ডান চোখে, কপালে, ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়া আন্দোলনে আসা কয়েকশ শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত যুবক রাইয়ান। এতে ২৭৮ জনকে নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার এসআই শরীফ উদ্দিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুলবুলকে রমনা উচ্চ ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ মামলার ১৫২তম আসামি। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ধানমন্ডি, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় দুটি মামলা রয়েছে। 

পুলিশ জানায়, আসামিরা বাদীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখে তাদের হাত থাকা গাছের লাঠি ও লোহার রড দ্বারা আবারও উপর্যুপরি আঘাত করিলে বাদী মারাত্মকভাবে আহত করিলে বাদী অচেতন হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকে। এরপর রাইয়ানের সঙ্গে আন্দোলনে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থী বাদীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসúাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে সুস্থ হয়ে তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।