ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শেষ হয় গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। ভোটগ্রহণ শুরুর সময় থেকে ভোট গণনার সময় নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও অনুসারীরা সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ঢাবির প্রবেশমুখ ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
গতকাল দুপুরের পর থেকেই ঢাবির গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণে তিন শতাধিক মানুষ জড়ো হন। বকশিবাজার মোড়ে উপস্থিত ছিলেন দুই শতাধিক মানুষ। তবে পলাশী মোড়ে তুলনামূলক ভিড় কম দেখা গেছে।
সরেজমিন ঢাবির কয়েকটি প্রবেশমুখ ঘুরে দেখা যায়, ধীরে ধীরে এসব স্থানে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কেউ দলবদ্ধভাবে অবস্থান করছেন, কেউ বা আশপাশে দাঁড়িয়ে নীরবে অপেক্ষা করছেন। বকশিবাজার মোড়েও একই চিত্রÑ এখানে দুই শতাধিক মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পলাশী মোড়ে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম হলেও আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের গতিবিধি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এত মানুষ থাকলেও কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রশ্ন করলে অনেকেই নীরবে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার হাসি দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
উপস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা স্বীকার করতে চাননি যে তারা নিজেদের সমর্থকদের জড়ো করছেন। ফলে ভিড় বাড়লেও এর উৎস ও কারণ সম্পর্কে কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। অবশ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এসব স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখেও ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের ভেতরেও পুলিশের উপস্থিতি ছিল যথেষ্টসংখ্যক।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় বছর পর এবার অনুষ্ঠিত হলো দেশের ‘মিনি পার্লামেন্ট’খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন