ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ২০২৫-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন নবনির্বাচিত নেতারা। সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ডাকসু থেকে পাঁচজনকে সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্বে ডাকসুর ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ডাকসুর সহ-সভাপতি আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), সাধারণ সম্পাদক এস. এম. ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন খানসহ নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ায় ডাকসুর কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য তিনি ডাকসু নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
এই সভা থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা হলেনÑ ভিপি সাদেক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ ও সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্না।
সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি, সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। শিক্ষার্থীদের কাজ আমাদের প্রশ্ন করা, আর আমাদের দায়িত্ব দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যা সামনে আসলে তার সমাধানে আমরা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমরা সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, এখানে আসলে কারো ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে শহীদদের আকাক্সক্ষা। সাদিক কায়েম জানান, তারা ইতোমধ্যেই সাবেক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন এবং শিগগিরই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও মতামত সংগ্রহ শুরু করবেন। শিগগিরই মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
ডাকসুর নির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, আজ প্রথম ওয়ার্কিং ডে। প্রথম দিনেই গঠনতান্ত্রিক নিয়ম মেনে পরিচিতি সভা ও কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা যে যেই মতেরই হই না কেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে সবার ভয়েস তুলতে চাই।
তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে সপ্তাহ ও মাসভিত্তিক এক্সিকিউটিভ প্ল্যান নেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এস এম ফরহাদ বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে সিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন