ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক মাস আগে দেওয়া কার্যাদেশের ভিত্তিতে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই অন্তত ৬টি সামগ্রী ধাপে ধাপে আনা হচ্ছে নির্বাচন ভবনে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সেসব সংরক্ষণ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারের পর গত রোববারও কিছু সামগ্রীর চালান এসেছে।
গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, লাল গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, বড় হোসিয়ান ব্যাগ, ছোট হোসিয়ান ব্যাগ সামগ্রীর চাহিদার কিছু অংশ সরবরাহ শুরু হয়েছে। বড় ও ছোট হোসিয়ান ব্যাগ চাহিদার সবই পৌঁছে গেছে। ধাপে ধাপে অন্যগুলোও আসছে।
এবার ভোটার সংখ্যা হতে পারে প্রায় পৌনে ১৩ কোটি। সে হিসাবে প্রায় ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্র এবং দুই লাখের বেশি ভোটকক্ষ প্রয়োজন হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কেনাকাটা ও সরবরাহ শুরু হওয়া আট ধরনের মালামালের মধ্যে রয়েছে- লাল গালা ২৩ হাজার কেজি চাহিদা; এক-চতুর্থাংশ পৌঁছে গেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ৫০ লাখ লক চাহিদা; পাঁচ লাখ সরবরাহ শুরু। ৮ লাখ ৪০ হাজার দাপ্তরিক সিল চাহিদা; পাঁচ লাখ সেপ্টেম্বরের শুরুতে সরবরাহ। মার্কিং সিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার চাহিদার বিপরীতে দেড় লাখ সরবরাহ শুরু। ব্রাস সিল ১ লাখ ১৫ হাজার চাহিদা; রিটেন্ডার হওয়ায় বিলম্ব। ১ লাখ ১৫ হাজার গানি ব্যাগ; রিটেন্ডার হওয়ায় সরবরাহ শুরু হয়নি। ৭০ হাজার বড় হেসিয়ান ব্যাগ চাহিদার সব সরবরাহ। এক লাখ ১৫ হাজার ছোট হেসিয়ান ব্যাগ; চাহিদার সব সরবরাহ।
সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে আগস্টের শুরুতে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব ধরনের নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা শেষ হবে। লোকাল পারচেজ প্রকিউরমেন্টে আটটি সামগ্রী ছিল। তার ভেতরে একটিতে পুনরায় দরপত্র দিতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সময়সীমা রয়েছে, তার মধ্যে পাওয়া যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের সামগ্রীর অধিকাংশই নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহ করা হয়। কিছু মনোহরি জিনিস রিটার্নিং অফিসারকে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহও করতে হয়। ভোট সামনে রেখে সুঁই সুতা, দিয়াশলাই, আঠা ও কলম থেকে প্লাস্টিকের পাত- প্রতিটি কেন্দ্র ও বুথের জন্য এমন ২১ ধরনের জিনিস লাগে।