বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:২৯ পিএম

পরকীয়া ও ছিনতাইয়ে বাধাই কাল হয় অটোচালক সায়েদুরের

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:২৯ পিএম

পরকীয়া ও ছিনতাইয়ে বাধাই কাল হয় অটোচালক সায়েদুরের

একই বাসার বিভিন্ন রুমে বসবাস করতেন সদর আলী ওরফে সোহরাব, আলমগীর, জুয়েল ও সায়েদুর রহমান। তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকলেও জুয়েল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোহরাবের স্ত্রীর সাথে। আলমগীরের সহায়তায় জুয়েল সোহরাবের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। এই সময়ে সোহরাব চেষ্টা করে সায়েদুরের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়াতে। বিষয়টি নিয়ে সোহরাব ও সায়েদুরের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এরই মধ্যে ফিরে আসে সোহরাবের স্ত্রী। সায়েদুর বাদে তিনজনই কুকর্মে জড়ালেও ঠিকই আবার মিলে যান তারা। আর্থিক অনটনে নিরীহ সায়েদুরের ভাড়ায়চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন সদর আলী, সোহরাব ও আলমগীর। কিন্তু সায়েদুর অটোরিকশা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নির্মমভাবে খুন করা হয়। 

দুই বছর আগে ঢাকার ধামরাইয়ে সংঘটিত অটোরিকশাচালক সায়েদুর রহমান হত্যাকা-ে তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ দুইজন সোহরাব ও আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা জেলা পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. কুদরত-ই-খুদা। 

তিনি জানান, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কেস্টখালী গ্রামের একটি ধানক্ষেতের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায়। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়। তিনি হলেন সায়েদুর রহমান, পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।

এ ঘটনায় ধামরাই থানায় হত্যা মামলা হয় এবং মামলাটি পরবর্তীতে তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। ভিকটিম এবং হত্যাকারী সদর আলী ওরফে সোহরাব ও আলমগীর একই বাসায় জুয়েল নামে এক যুবকের সঙ্গে বসবাস করত। অবিবাহিত জুয়েল ও আলমগীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও একপর্যায়ে সদর আলী ওরফে সোহরাবের স্ত্রী জুয়েলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। কিছুদিন পর সদর আলীর স্ত্রী আবার স্বামীর কাছে ফিরে এলেও তখন নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়। সদর আলী এবং আলমগীর দুজনেই নিহত সায়েদুরের স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিল। এ জটিল প্রেম-পরকীয়ার টানাপোড়েন এক সময় ভয়াবহ রূপ নেয়।

পিবিআইয়ের কর্মকর্তা আরও বলেন, অর্থের সংকট দেখা দিলে সদর আলী, আলমগীর ও জুয়েল পরিকল্পনা করে সায়েদুর রহমানের অটোরিকশা ছিনতাইয়ের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা সায়েদুরকে গান শোনার কথা বলে বাইরে নিয়ে যায়। ফেরার পথে কেস্টখালী গ্রামের নির্জন স্থানে তাকে কৌশলে বেঁধে ফেলে। গামছা দিয়ে মুখ চেপে, হাত-পা বেঁধে, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তারা। পরে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। অটোরিকশাটি তারা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে এবং টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়।

তিনি জানান, পিবিআই ঢাকা জেলার বিশেষ টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে সদর আলীকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল আসামি আলমগীরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর দুজনেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!