সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

বিকল্প বিনোদনে ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মে শিশুরা, বাড়ছে ঝুঁঁকি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ১১:৪৯ পিএম

বিকল্প বিনোদনে ডিজিটাল  প্ল্যাটফর্মে শিশুরা, বাড়ছে ঝুঁঁকি

ডিজিটাল প্লাটফর্মে (ভার্চুয়াল জগৎ) শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, বিকল্প বিনোদনের সুযোগ না থাকায় শিশু-কিশোররা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। যা তাদের স্বাভাবিক মেধা বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পরিবারসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্পিক আপ; ইউ-সিএসও’ প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় উন্নয়ন সংস্থা ‘টেরে ডেস হোমস্ নেদারল্যান্ডস’ (টিডিএইচ-এনএল), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স (বিটিএস) ও ইনসিডিন বাংলাদেশ আয়োজিত ওই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন টিডিএইচ-এনএল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার নজরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল হাসান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশনের টিম লিডার এনরিকো লরেনজো, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, বিটিএস’র জাহিদ হোসেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তাহমিনা বেগম প্রমুখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতিনিয়ত শিশু-কিশোররা ডিজিটাল প্লাটফর্মের ওপর নির্ভার হয়ে পড়ছে। কারণ আমরা তাদের বিকল্প দিতে পারছি না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের শিশু-কিশোরদের অবাধ বিচরণের কারণে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাবে নানা ধরনের হয়রানি বাড়ছে। এই অবস্থায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মতামত প্রদানের স্বাধীনতা এবং শিশুদের অনলাইন হয়রানি ও নির্যাতনের ঝুঁকি হ্রাসে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। সুশীল সমাজের সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক নির্মাণের মাধ্যমে স্থানীয় সুরক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম বলেন, শিশু ও যুবদের ডিজিটাল নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। যাতে তাদের অনলাইনে অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তথ্য উপস্থাপন ও আইনগত সংস্কারকে উৎসাহিত করতে হবে, যাতে জবাবদিহিতা ও অনলাইন নিরাপত্তা কাঠামো উন্নত হয়। এক্ষেত্রে সরকার, বেসরকারি খাত, গণমাধ্যম ও কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। শিশু ও যুব, নাগরিক সংগঠন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, অভিভাবক, কমিউনিটিসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। 

অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে বলা হয়, ‘স্পিক আপ; ইউ-সিএসও’ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সি শিশু ও যুবদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা ও উন্নীত করা, বিশেষত ডিজিটাল পরিসরে। প্রকল্পে অনলাইনে যৌন শোষণ ও নির্যাতন, সাইবার বুলিং, ভুল তথ্য প্রচার ও হয়রানির মতো ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলার পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা ও অন্তর্ভুক্তির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো, নাগরিক সংগঠনগুলোর ক্ষমতায়ন করা, যাতে তারা অনলাইনে তরুণদের অধিকারের সমর্থক ও রক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাদের কারিগরি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, নীতিগত সহায়তার মাধ্যমে শিশু ও যুবদের নেতৃত্বে একটি অধিকারভিত্তিক আলোচনার পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে। যেখানে প্রান্তিক, প্রতিবন্ধী ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যসম্পন্ন শিশু ও যুবদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেয়ে ও তরুণীরা অনলাইনে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় এই প্রকল্পে লিঙ্গ-সংবেদনশীল, ট্রমা-সচেতন ও শিশুবান্ধব পদ্ধতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!