মা দুর্গার বিদায়ের পর মা লক্ষ্মীকে ঘরে আনার পালা। আজ সোমবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধন ও ঐশ^র্য্যরে অধিষ্ঠাত্রী দেবী শ্রীশ্রী লক্ষ্মীপূজা। একে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজাও বলা হয়। বাঙালি হিন্দুদের ঘরে ঘরে এই পূজার আয়োজন করা হয়। শারদ পূর্ণিমা অর্থাৎ, আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে মা লক্ষ্মীর পূজা ও আরাধনা করা হয়।
পঞ্জিকা মতে, আজ বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে, যা কাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩ মিনিটে শেষ হবে। তিথি অনুযায়ী আজ বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করবেন ভক্তরা। পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের আগে এই দিনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি ঘরে আলপনা আঁকার মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মীকে আহ্বান জানানো হবে।
শাস্ত্রমতে, মা লক্ষ্মী খুব অল্পেতেই সন্তুষ্ট, কিন্তু উপযুক্ত নিয়মাবলি ও কিছু বিধিনিষেধ মেনে দেবীকে আহ্বান জানাতে হয়। রীতি অনুযায়ী, এই দিনে বাঙালি হিন্দু গৃহবধূরা পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপবাস থাকেন। পূজা শেষে লক্ষ্মীর পাঁচালি পাঠ করেন। রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশে প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরের আঙিনায় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপে আল্পনা আঁকা ও মোমবাতি প্রজ¦ালন করা হয়।
রাজধানীর ৫০০ বছরের পুরোনো মন্দির রামসীতা মন্দির, রমনা কালীবাড়ি মন্দির, ঠাঁটারীবাজার পঞ্চানন্দ শিবমন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, ৮৪ নম্বর বনগ্রাম রোডে রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সাভারের নগর কোন্ডার মধ্যপাড়া সর্বজনীন দুর্গামন্দিরসহ সারা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হবে।