ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে তিস্তা পাড়ের মানুষ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ০৩:২৭ এএম
ছবি- সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে বেড়েই চলেছে তিস্তা নদীর পানি। রোববার রাত ১১টার দিকে নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

দিনভর পানিবৃদ্ধির খবরে আতঙ্কে ছিলেন নদীপাড়ের মানুষ। রাত নামার পর প্লাবন পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদিপশু ও গৃহস্থালি সামগ্রী নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর।

নীলফামারীর পূর্ব ছাতনাই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবার তিস্তার পানি বাড়লেই আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। এবারও সব তলিয়ে গেছে। সারারাত চিন্তায় ঘুমাতে পারছি না।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সন্ধ্যায় পানি ছিল বিপদসীমার নিচে, কিন্তু রাতের দিকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫০ মিটার রেকর্ড করা হয়, যা বিপদসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি।

এর ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে এবং এখনো বাড়ছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, পানিবন্দী পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবার ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।