ঢাকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫

তিস্তা বাঁচাতে রংপুরে পদযাত্রা কর্মসূচি

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১১:০২ পিএম

নির্বাচনি তপশিল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার দাবিতে রংপুরে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, সরকারের কোনো টালবাহানাই কাজে আসবে না। দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে অক্টোবরজুড়েই নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।

গতকাল রোববার দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে নগরীর শিক্ষা কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পদযাত্রা বের হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মরকলিপি প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডন, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক প্রমুখ।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাঝে মাঝে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কখন শুরু হবে, কীভাবে শুরু হবে সেটি স্পষ্ট করেনি। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। আজ (গতকাল) রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীবেষ্টিত ৫ জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হলো।

আগামী ৯ অক্টোবর গণমিছিল ও গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর নদীর অববাহিকার ১৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে। এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও যদি সরকার দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হয়, তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রংপুরকে অচল করে দিতে বাধ্য হব। এই পদযাত্রা কর্মসূচি রংপুর বিভাগের পাঁচটি জেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচটি জেলাতেই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেওয়া হয়।