রাজধানীর গুলশান ও বনানীর অবৈধ সিসা বারে অভিযান চালিয়ে সিসাসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনসি ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গত শনিবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (অপারেশনস) মো. বশির আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক এ কে এম শওকত ইসলাম এবং অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ বদরুদ্দীন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানে ৮ জন আসামি গ্রেপ্তারসহ তিন কেজি সিসা, সিসা সেবনের হুক্কা পাঁচটি, বিদেশি মদ দুই লিটার, বিয়ার বারো ক্যান এবং নগদ বারো হাজার আটশ সত্তর টাকা উদ্ধার করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞতিতে গতকাল রোববার এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, সহকারী পরিচালক ড. মো. আবু সাঈদ মিয়া, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর), ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (দক্ষিণ), বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, ঢাকা এবং জেলা কার্যালয়, ঢাকার সমন্বয়ে এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১ এর ২২ (বাইশ) জন সদস্যসহ তিনটি রেইডিং টিম গঠন করে বেশ কয়েকটি সিসা বারে অভিযান চালনো হয়। এর মধ্যে রয়েছেÑ গুলশান এভিনিউর লেবেল-২’র মনটানা লাউঞ্জ, বনানীর দ্য সিলভার লাউঞ্জ, সিলসিউজ, এক্সটিস ও ইউনিক রিজেন্সি হোটেলে পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গুলশানের মনটানা লাউঞ্জ থেকে অবৈধ সিসা ও সিসা সরঞ্জামসহ ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজন আসামি পলাতক।
আসামিরা হলেন, মো মাসুম বিল্লা (২৮), মো. রাব্বি (২২) মো. জুলহাস (২৭), রিজোয়ান রোজারীও (৪৫) মো. নাছির উদ্দিন (৪৭) এবং নয়ন হোসেন (২০)। পলাতক দুজন হলেন, আবু সাইদ (৬২) ও ইবনুল হাসান (৬২) মনটানা শিশা লাউঞ্জের মালিক।
বিজ্ঞতিতে আরও বলা হয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক গুলশান, বনানীসহ ঢাকা শহরে অবৈধ সিসা বারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। কোনো সিসা বার চালু হওয়ার সংবাদ পাওয়া মাত্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন