সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, এটি বাস্তবায়ন হলে নারীদের উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, সংবিধানে থাকা সমান সুযোগের নিশ্চয়তা লঙ্ঘিত হবে।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রীরা। এ সময় তারা ইডেন কলেজসহ সাত কলেজের ঐতিহ্য ও স্বতন্ত্র মর্যাদা রক্ষায় সাবেক শিক্ষার্থীরা সাতটি সুপারিশ তুলে ধরেন। তারা বলেন, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা কলেজ দীর্ঘকাল ধরে নারীশিক্ষার অগ্রযাত্রায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখছে। বিশেষত ধর্মপ্রাণ, নি¤œ-আয়ের পরিবারের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এগুলো নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রস্তাবিত খসড়া অধ্যাদেশে ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজে সহশিক্ষা কর্যক্রমের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা নারীশিক্ষার নিরাপত্তা ও স্বাধীনতাপরিপন্থি।
প্রস্তাবিত সংকোচন কার্যকর হলে রাজধানীতে নারীদের উচ্চশিক্ষা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং সংবিধান প্রদত্ত সমান অধিকার লঙ্ঘিত হবে। তা ছাড়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষার ১৪০০-এর বেশি পদ বিলুপ্ত হবে, যা শিক্ষা ক্যাডার পদপ্রার্থীদের বিশাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজকে কলেজিয়েট বা অধিভুক্তমূলক কাঠামোর আওতায় রাখা এবং প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিকে পৃথক ক্যাম্পাসে স্থাপন করে সাত কলেজসহ অন্য আরও শতবর্ষী কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করাসহ সাতটি সুপারিশ করেন ইডেন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইডেন মহিলা কলেজর সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিশরাত বেগম, সাবেক ছাত্রী খন্দকার ফারহানা ইয়াসমীন, অধ্যাপক সৈয়দা সুলতানা সালমা, রোকন সিদ্দীকী, ইসরাত জাহান পান্না, ফাহিমা আক্তার মুকুল, রাজিয়া সুলতানা, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নাহিদ মনসুর।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন