বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপিসহ যারা নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। ঐক্য ভাঙা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড এবং প্রশাসনে ঘাপটিমারা আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে দুদু বলেন, একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে। গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বিমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে, তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে, এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নিই, তাহলে সেটাও ভুল হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবি তো এ দেশের মানুষই করে। কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের মতো বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের অধিকার চায় এবং ভোট দিতে চায়। বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গত ষোলো বছর ধরে মানুষের সঙ্গে থেকে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন। আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন আটকাবস্থায় ছিলেন এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা সরবরাহ করা হয়নি; আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেবল মামলা করা হয়নিÑ বিচারের নামে তাকে যাবজ্জীবন শাস্তির মতো আচরণ করা হয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করে না যে, তিনি দেশে ফিরলে নিরাপদ থাকবেন; তাই তিনি সময় নিচ্ছেন এবং দলও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, শাহা নেচারুল হক, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহা আব্দুল্লাহ আল বাকি, পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজি, কৃষক দল নেতা শফিকুল ইসলাম সবুজ, রমিজ উদ্দিন রুমি, রবিউল ইসলাম তালুকদার রবি, আমির হোসেন দানেজ, মো. মুসা ফরাজী প্রমুখ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন