রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের জানাজা শেষে মরদেহ গতকাল দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে রোববার গভীর রাতে নিজ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারচর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে তার মরদেহ পৌঁছায়। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় ইউনিয়নের পোড়াগাছা মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে নড়িয়া পৌর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত আবুল কালাম ইশ্বরকাঠি গ্রামের মৃত জলিল চোকদারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। বড় ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) এবং ছোট মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (৩)।
তার স্ত্রী আইরিন আক্তার পিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সন্তানরা এখনো বুঝতে পারেনি, তাদের বাবা আর ফিরবে না। ওরা বলে, ‘বাবা ঘুমাচ্ছে মা, তুমি কান্না করো না।’ আমি কীভাবে ওদের বোঝাই যে, ওদের বাবা আর কখনো জাগবে না! ওই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা, এখন আমি ও সন্তানরা একেবারে দিশাহারা হয়ে গেছি।
নড়িয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাকী দাস বলেন, আবুল কালামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার জানাজা ও দাফনে অংশ নিয়েছি। আমরা সার্বক্ষণিক তার পরিবারের পাশে রয়েছি। পরিবারের লোকজন যেকোনো প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসনকে পাশে পাবে।

