স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। অধ্যাদেশ কার্যকরের পর নি¤œ আদালত সরকারের অধীনে থাকবে না। তবে উচ্চ আদালতের সচিবালয় স্থাপনের পর অধ্যাদেশটি কার্যকর হবে। এ জন্য অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পরে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন আইন ও বিচারবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে। পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে নি¤œ আদালতের বিচারক নিয়োগ, বদলি, অন্যান্য বিষয় এবং আদালতের কন্ট্রোল ও শৃঙ্খলা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের হাতে ন্যস্ত থাকবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ নিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে দুই মাসের মতো সময় লাগতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে প্রধান বিচারপতির ওপর।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে নি¤œ আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা এখন আইন মন্ত্রণালয়ের। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন