শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৩:১২ এএম

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব অফিসে পাঁচ সেবা বন্ধ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৩:১২ এএম

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব অফিসে পাঁচ সেবা বন্ধ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শুধু মতিঝিল কার্যালয় নয়, সব বিভাগীয় অফিসে সঞ্চয়পত্রসহ পাঁচ ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সেবাগুলো হলো সঞ্চয়পত্র বিক্রি, প্রাইজবন্ড বিক্রি; ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়, এ-চালান, চালান-সংক্রান্ত ভাংতি টাকা প্রদান। আগামী রোববার থেকে কোনো গ্রাহক আর এসব সেবা পাবেন না।

এর আগে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে এসব সেবা বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দুই দিন পরই সব অফিসে সেবা বন্ধের ঘোষণা দিল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম এতে সই করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০ নভেম্বরের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিলেট, সদরঘাট, বরিশাল ও রংপুর অফিস হতে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রয়, ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময় এবং এ-চালানসহ তৎসংশ্লিষ্ট সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেওয়া হয় না। কি পয়েন্ট ইনস্টলেশনভুক্ত (কেপিআই) প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকসংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘেœ জনসাধারণকে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে সেবাগুলো বন্ধ থাকবে। কিন্তু আজকের বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিসে সঞ্চয়পত্রসহ পাঁচ সেবা বন্ধ। ২০ নভেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রয়, ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময় এবং এ-চালানসহ সংশ্লিষ্ট সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট এসব সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘেœ জনসাধারণকে এসব সেবা দেয় তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, বিশ্বের কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাউন্টার থেকে সরাসরি সাধারণ মানুষকে এ ধরনের সেবা দেয় না। আলোচ্য সেবাগুলো তপশিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় অফিস এসব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত ২২ জুন মতিঝিল অফিসের ক্যাশ বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এরপর একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কমিটির সুপারিশে গ্রাহকদের সব ধরনের সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর আগে গত ১৮ আগস্ট ও ২২ সেপ্টেম্বর করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। সেখানে আলোচনা হয়, এর আগে দুইজন গভর্নর গ্রাহক সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সেবা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এদিকে গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের সার্ভার জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। আরও দুইজনের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা শেষ সময়ে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এরপর থেকে মতিঝিল অফিসের সঞ্চয়পত্র বিক্রি বন্ধ আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। আর সব ব্যাংক শাখায় প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। ব্যাংকগুলো ছেঁড়াফাটা নোট বদল ও অটোমেটেড চালান সেবাও দেয়। তবে ভোগান্তিমুক্ত সেবা ও আস্থার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকেই বেশি ভিড় করেন গ্রাহক। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে গ্রাহকদের তিন লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!