ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে

রেজাউল করিম খোকন
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:০৭ এএম

বিএনপি ৪৭ বছরে পা দিল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করা দলটি এখন এক নতুন যুগসন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ১৫ বছরের কঠিন সংগ্রামের পর শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক এবং মাফিয়াবাদী শাসনতন্ত্র উৎখাতের মধ্যে দলটি এবং দলের নেতাকর্মীরা অনেক দিন পর একটু স্বস্তির জায়গায় পৌঁছেছে। আসন্ন নির্বাচনে জিতলে আবারও দলটির নতুনভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব (যার সুযোগ নিতে আমরা এতদিন চরমভাবে ব্যর্থ), আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের নতুন যুগ, দেশের পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য যেই ক্ষমতায় আসুক, তাকে দায়িত্ব নিতেই হবে।

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই দলটি আমাদের দিয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। আমরা এখন জোর গলায় বলতে পারি, আমরা বাংলাদেশপন্থি মানুষ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের দেশে শুধু বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী দলগুলোই আছে, যার শুরুটা বিএনপির হাত দিয়েই। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরত যাওয়ার মতো পুরো ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন হয়েছিল বিএনপির হাত দিয়েই। আসলে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বা সংস্কারগুলো এখন পর্যন্ত বিএনপির হাত দিয়েই হয়েছে। বাকশালের পর বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফেরত এনেছিল বিএনপিই। এরপর এনেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। অনেক নতুন জিনিস এসেছিল বিএনপির হাত দিয়েই। যেমন ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তন। বাংলাদেশের আয় এক ধাক্কায় বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে এই আইন।

বাংলাদেশ তার রাজনীতিতে এখনো একজন জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বেড়ায়। স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে নিজের মৃত্যু পরোয়ানা ঘোষণা করা, যুদ্ধে আহত হওয়া-বাংলাদেশের একমাত্র সেনা অফিসার, যিনি দুই দেশের জীবিতদের মধ্যে একমাত্র সর্বোচ্চ খেতাবধারী ছিলেন। খাল খনন এবং আধুনিক কৃষিব্যবস্থা প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের আমদানি তিন ভাগের দুই ভাগ কমিয়ে এনেছিলেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কথাও তার মাথা থেকে আসে, যা এখন চরমভাবে ব্যর্থ। গার্মেন্টস দিয়ে দেশের পুরো অর্থনীতির মোড় ঘোরানোর শুরু তার হাতে।

আবার ছিলেন সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিম জিয়ার চরিত্রহননের বহু গল্প বানালেও তার সততাকে কখনোই প্রশ্ন করতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর একজন গৃহিণী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্ব নেন। সেই খালেদা জিয়াই এখন বাংলাদেশের ঐক্যের প্রতীক। তার আপসহীন এবং হার না মানা চিন্তাভাবনা থেকে দেশের মানুষের অনেক কিছু শেখার আছে। তার শাসনামলের প্রধান লক্ষ্যই ছিল দেশকে শিক্ষা এবং অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। অসুস্থ খালেদা জিয়ার পর দলের হাল এখন তারেক রহমানের হাতে। তার সবচেয়ে বড় সাফল্য দলকে এত অত্যাচারের মধ্যেও এক রাখতে পারা এবং দলকে একটা উদারপন্থি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে টিকিয়ে রাখা। ৩১ দফা ঘোষণার মাধ্যমে দেশের সংস্কার যে প্রয়োজন তা আসলে বিএনপিরই ঘোষণা।

অতীতের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। দেশে যেন একক ব্যক্তির স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে। অতীতে যা ঘটেছিল, সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। অপশাসন, বিচারহীনতা, দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার যেন না ঘটে। যারা এসব অন্যায় করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারের জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করতে হবে। বিকৃত, নি¤œমানের, প্রতিহিংসামূলক ও ল্যাং মারার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বদল আনতে হবে। এটি পরিবর্তন দুরূহ ও কষ্টসাধ্য। 

হতাশা ছাপিয়ে বাংলাদেশের ২০২৪ সালের অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। তবে হতাশা যে আছে, এটা ঠিক। বাংলাদেশের ২০২৪ সালের বিরাট অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। নিরস্ত্র জনগণের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থান এই অঞ্চলের অন্যতম হিংস্র, দমনমূলক, রক্তপিপাসু সরকারকে হটিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ একটি দেশ, যেখানে নতুন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বারবার স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের যে কাঠামো ছিল, তাতে পরিবর্তন আসেনি। এটা হতাশার বিষয়। এ জন্য অনেক শিক্ষার্থী, অনেক নাগরিক হতাশ। তবে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা বুঝতে পারছেন, পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। কারণ, মানুষ আর সেটা মেনে নেবে না। যদিও পুরোনো শাসনকাঠামোকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যায়নি, তবে পুরোনো শাসন কাঠামোর পুনর্গঠন করে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। কারণ, সেই কাঠামো কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এসব নিশ্চিত করতে পারবে না। মানুষ এখন যা চায়, তার সঙ্গে তারা আপস করবে না। রাজনীতিকে আরও উন্মুক্ত করে দিতে হবে। অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থায়নের উৎস নিয়ে ভাবতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন আনতেই হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির নতুন করে সংজ্ঞা ঠিক করতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা ২০২৪ সালের আগের রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশকে ফিরে যেতে দেবে না। আগামীর বাংলাদেশে তরুণরাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও গুণগত পরিবর্তন আনবে। বাংলাদেশে শিক্ষাগত বৈষম্য সবচেয়ে গুরুতর।  এখানে অল্প একটা গোষ্ঠী উন্নত শিক্ষা পেয়ে থাকে। এর থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু করা না গেলে এই সংকট আগামী দশকেও এই অঞ্চলের মানুষকে ভোগাবে। তাই রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগামী সাত-আট বছর সামনে রেখে একটি পরিকল্পনার ওপর জোর দিতে হবে।

বাংলাদেশ বৈশ্বিক দক্ষিণের জন্য আশার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের শ্রমিকনির্ভর অর্থনীতির ওপর নির্ভর না করে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের বিপুল যে সম্ভাবনা রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে হবে।  পাশাপাশি জলবায়ু ঝুঁকির প্রশ্নে বাংলাদেশেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ আসিয়ানকে পাশে পাবে।

যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা ওয়েস্ট মিনিস্টার ধাঁচের গণতন্ত্র এখানে ব্যর্থ হয়েছে। নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় তা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে তা ব্যর্থ হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলছি? নাকি সুশাসনের? আমাদের দল, নির্বাচনসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু গণতন্ত্রের মূল নির্যাস জনগণের ক্ষমতায়ন, তা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলের দেশগুলো ব্যর্থ হয়েছে। এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশেই কোনো সুশাসন নেই, জবাবদিহি নেই। কাজেই আমরা কী ধরনের গণতন্ত্র চাই, তা নিয়ে আমাদের আবার ভাবতে হবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার এই প্রশ্নটি নিয়ে ভাবা উচিত। বাংলাদেশের বড় সমস্যা হলো রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্রকে ব্যবহার করেন সংসদে যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ এখন যে অভিযাত্রার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তার প্রভাব বৈশ্বিক। তবে এখানকার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা অর্থনৈতিক বৈষম্য। রাজনৈতিক দলের সংস্কার ছাড়া জনপ্রশাসনের সংস্কার হবে না। জনপ্রশাসনে সংস্কার আনতে হলে রাজনৈতিক দলে সংস্কার আনতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে অন্তত ২০টি সংস্কার কমিশন হয়েছিল।

এসব কমিশন অনেক ভালো পরামর্শও দিয়েছিল; কিন্তু তেমন কোনো সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সবার আগে উচিত ছিল রাজনৈতিক দলের সংস্কার কমিশন গঠন করা; কিন্তু তা হয়নি। তাই এবারও জনপ্রশাসন সংস্কারে কমিশন তাদের সুপারিশ তুলে ধরলেও তা বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। গণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগে রাজনৈতিক দলের সংস্কারে কমিশন হওয়া জরুরি ছিল। জনপ্রশাসনে সংস্কারে গঠিত কমিশন সুপারিশ করলেও ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে’? স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দেশের প্রশাসন এখনো ভঙ্গুর। প্রশাসন ক্যাডার, পুলিশ ও স্থানীয় সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্য হারিয়ে গেছে। দেশের মৌলিক দুর্বলতা হচ্ছে, প্রশাসন উচ্চ রাজনীতিকরণ, কেন্দ্রীভূত, অদক্ষ, অনৈতিক ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাওয়া। এসব কিছু হয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে।

তবে জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশে একটা পদ্ধতিগত পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। এখন যেটি করতে হবে, তা হলো প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না, সে ববস্থা করা। এ জন্য আইনি, কাঠামোগত, পদ্ধতিগত ও আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকার চাইলে কোনো কারণ ছাড়াই জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। কোনো কারণ ছাড়া একজন সরকারি কর্মচারীকে এভাবে চাকরি থেকে বিদায় দেওয়া উচিত নয়। আবার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৯৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, সরকারি চাকরিজীবীকে গ্রেপ্তারের আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এই ধারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) সব ক্যাডার সমান সুযোগ পান না। এখানে বড় ধরনের বৈষম্য রয়েছে। এ বৈষম্য দূর করতে হবে। পদ্ধতিগত সংস্কারে পদোন্নতি, পদায়ন ও নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের আচরণগত পরিবর্তনের ওপরও জোর দিতে হবে। নৈতিকতা, পেশাদারের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা না থাকে।

প্রশাসনে সংস্কার আনতে হলে আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সদিচ্ছা থাকতে হবে। দেশে এত বিসিএস ক্যাডারের প্রয়োজন নেই। প্রশাসনে রাজনীতিকরণের কারণে গত দেড় দশকে কী হয়েছে তা, বিগত সময়ে সংস্কার কমিশন থেকে সুন্দর সুন্দর প্রস্তাব এসেছে; কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি। প্রশাসন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। বিগত সময়ের সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কেন বাস্তবায়িত হয়নি, তা খতিয়ে দেখ। নতুন করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের কোনো দৃশ্যমান বৈঠক দেখা যায়নি। এসব সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে।

তাই রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কমিশনকে বসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশে অনেক যুদ্ধ ও সংগ্রাম হয়েছে; কিন্তু আমরা সেসব সংগ্রামের ফসল তুলতে পারিনি। দেশ স্বাধীনের পর ২৬ বার জনপ্রশাসন সংস্কারে কমিশন হয়েছে; কিন্তু সেসব কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। এসব সুপারিশ কে বাস্তবায়ন করবে? রাজনৈতিক দল করবে। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠিত হয়নি। দেখা গেল, সংস্কার কমিশন হয়তো বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরল।

কিন্তু সেটা যদি বাস্তবায়ন না করে বসে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যদি কানে তুলা দিয়ে বসে  থাকে।  হয়তো তারা কান থেকে তুলা খুলে বলবে, কিছু শুনিনি। তাই সবার আগে রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি। রাজনৈতিক দলের সংস্কার ছাড়া জনপ্রশাসনের সংস্কার হবে না। জনপ্রশাসনে সংস্কার আনতে হলে রাজনৈতিক দলে সংস্কার আনতে হবে। 

রেজাউল করিম খোকন: অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক