এ প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীবের সংগীতবিষয়ক দেশে ও বিদেশে নানা রেকর্ড রয়েছে। তিনি আবারও বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত সৃষ্টি করলেন। দেশের এ সংগীতশিল্পী জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ১৯তম ইন্টারন্যাশনাল ইউথ ফর হিউম্যান রাইটস সামিটে বক্তা হিসেবে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী যিনি এ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সম্মান অর্জন করলেন ইউনাইটেড ফর হিউম্যান রাইটসের আয়োজনে ও টিমোর-লেস্তের স্থায়ী মিশনের পৃষ্ঠপোষকতায়। এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, সংস্কৃতিচর্চাকারী ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন।
স্বপ্নীল সজীবের উপস্থিতি এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। যেখানে বাংলাদেশি সংগীত, সংস্কৃতি ও মানবিক মূল্যবোধ আন্তর্জাতিক পরিসরে তিনি তুলে ধরেছেন। ২০২৫ সালের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শান্তির জন্য শিক্ষা’। সম্মেলনে স্বপ্নীল তার বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তি, মানবতা ও সহমর্মিতার দর্শনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্বপ্নীল সজীব বলেন, ‘জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে আমার গান ও কবি রবীন্দ্রনাথের অনুপ্রেরণায় শিক্ষা ও শান্তি নিয়ে কথা বলতে পারা আমার জীবনের এক পরম গর্বের বিষয়, আমি শুধু একজন শিল্পী নই, একজন সংস্কৃতিকর্মীও। আমাদের কণ্ঠ শুধু সুরে নয়, মানবতার কল্যাণে গীত হওয়া উচিত। বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এ সুযোগ পেয়ে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
সম্মেলনে স্বপ্নীল তার সমাজসেবামূলক কর্মকা-ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন। ঢাকায় তার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সংগীত ও শিল্পকলার শিক্ষা দিয়ে আসছেন, যা তাদের আত্মমর্যাদা ও সৃজনশীলতা গঠনে ভূমিকা রাখছে।
সংগীতচর্চায় স্বপ্নীল সজীবের রয়েছে আরও নানা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০২৫ সালে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট কর্তৃক তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করা হয়। পরের বছর, নিউ জার্সির সামারসেট কাউন্টির মেয়র ও কাউন্সিল তাকে সম্মাননা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য। রবীন্দ্রসংগীত ও বাংলা গানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি এক উজ্জ্বল প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :