সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

ফ্রিজে রাখা খুলি ২ মাস পর লাগানো হলো মামুনের মাথায়

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া। ছবি- সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া। ছবি- সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত সমাজতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথার খুলি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার দুই মাস পর অবশেষে মাথার খুলির অংশটি পুনঃস্থাপন করা হয়।

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে এই সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে মামুনের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

একই ঘটনায় আহত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদও সুস্থতার পথে রয়েছেন। তিনি বর্তমানে ফিজিওথেরাপি নিচ্ছেন এবং শারীরিকভাবে আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতি হয়েছে।

চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মামুনের মাথার খুলির অংশটি প্রতিস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. ইসমাঈল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর কিছু জটিলতা থেকে যেতে পারে, তাই আমরা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করিনি। তবে অপারেশনটি সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।’

গত ৩০ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষে মামুন ও ইমতিয়াজ গুরুতর আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যা প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে।

সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছিলেন।

সংঘর্ষের সময় মামুনের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগায় চিকিৎসকরা তার খুলির একটি অংশ অপসারণ করে সংরক্ষণে রাখেন। পরে সেটি ফ্রিজে সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়। অবশেষে চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় মামুন এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। 

Link copied!