বর্তমান সময়ের নাটক, গল্প, দর্শকদের চাওয়া-পাওয়া ও সামাজিক দায়বদ্ধতা ইত্যাদি নানান প্রেক্ষাপট নিয়ে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন এ সময়ের দর্শকপ্রিয় নাট্যনির্মাতা নাজনীন হাসান খান। নাট্যাঙ্গনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিনহাজুর রহমান নয়ন-
ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন?
যেহেতু নাটক নির্মাণই আমার ভালো লাগার জায়গা, সেহেতু পরবর্তী নির্মাণ নিয়ে তিনটি একক নাটক এবং একটি টেলিফিল্মের কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতি শেষে শিগগিরই শুটিং-এ যেতে পারব বলে আশা করছি। মাছরাঙা ও এটিএন বাংলায় নাটকগুলো প্রচার হবে।
সংসার আর নাটক নির্মাণ, কীভাবে সামলান?
প্রথম প্রথম কিছুটা সমস্যা হতো, এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আর আমার টিমের যার যার দায়িত্বের জায়গায় সবাই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করে, আমিও তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা মতো কাজটাকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকি। এতে করে সংসার সামলাতে আমার কোনো প্রকার বেগ পেতে হয় না।
নির্মাণ পেশা নাকি শখ?
শখের বশে নিশ্চয়ই মানুষ এতটা ডেডিকেটেড হয় না, যতটা ডেডিকেশন আমার রয়েছে। ফিকশন নির্মাণ করতে ভালোবাসি। আমি নির্মাণটাকে খুবই উপভোগ করি এবং এই সেক্টরটা আমার ভালোলাগার একটা জায়গাও।
প্রযুক্তি
আসলে প্রতিটা প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের কল্যাণের স্বার্থে। সেক্ষেত্রে কেউ কেউ এই কল্যাণকর প্রযুক্তির মিসইউজ করে নিজেদের ক্ষতি করছে। আমার মনে হয় তারা যদি সঠিক বিনোদন, সঠিক গাইডলাইন পায়, তাহলে তারা ভালো পথেই থাকবে।
গল্পে কি বেশি গুরুত্ব দেন এবং কেন?
আমার গল্পের প্রধানতম গুরুত্বের জায়গা হচ্ছেÑ আনন্দ দেওয়া। আর গল্পের ভেতর এমন কিছু টুইস্ট থাকে যেখানে দর্শকের মানসিকতায় তা প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ পারিপার্শ্বিক কারণে আমরা অনেকটা বিব্রত হয়ে থাকি, সেই জায়গাগুলো যখন নাড়া খায়, তখন বিবেকবোধ জাগ্রত হয়।