'সাদিক কায়েম পাকিস্তানি' স্লোগান দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মেঘমল্লার বসু। বুধবার (৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। এতে তিনি বলেন, ‘ সাদিক কায়েম পাকিস্তানি স্লোগানটি রাজনৈতিকভাবে ইনকারেক্ট। এই স্লোগান দেওয়া আমার ঠিক হয় নাই। ইট ওয়াজ বিনিথ মি।ভবিষ্যতে এই প্রজন্মের শিবিরের নেতাদের নিয়ে এহেন স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকব। কমরেডরাও সচেতন থাইকেন।
প্রসঙ্গত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট। ৩ দিন ব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিনে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের স্বীকার দাবি করে জামায়াত নেতা গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, কামরুজ্জামান চৌধুরী ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবির প্রদর্শনী করে ঢাবি শিবির।
পরে বামপন্থীদের তোপের মুখে সেই সব ছবি সরিয়ে নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ করতে থাকে শিবির ও বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।এ সময় স্লোগানে সাদিক কায়িমকে পাকিস্তানি বলেন মেঘমল্লার বসু।
এদিকে এ ঘটনার পর, টিএসসিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র করছে বামরা। মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্যদের ফাঁসির আদেশ একটি বিচারিক হত্যাকাণ্ড। এর দায় শুধু হাসিনার নয়, শাহবাগের ফ্যাসিবাদীদের দোসরদেরও। যারা ১০-১২টা সংগঠন থেকে ২০-২৫ জন নিয়ে টিএসসিতে এসেছে।’
এ সময় শিবির সভাপতি আরও বলেন, বিচারিক হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দাঁড় করাতে বামপন্থিরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মব সৃষ্টি করছে।
এদিকে ‘সাদিক কায়িম পাকিস্তানি’ স্লোগান ভুল বলে স্বীকার করলেও ‘বাকি যা করসি বেশ করসি , আরও করব’ বলে হুমকি দেন মেঘমল্লার বসু।