ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

চেলসি বিক্রির অর্থ এখনো ‘অবরুদ্ধ’

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

সাবেক চেলসি ফুটবল ক্লাবের মালিক রোমান আব্রামোভিচ সরকারের সমালোচনা করেছেন। চেলসি বিক্রির প্রায় ২.৩৫ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ যুদ্ধপীড়িত ইউক্রেনের মানুষের কাছে যাওয়ার বদলে এখনো জমে থাকা নিয়ে বিতর্ক চলছেই।

আব্রামোভিচের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন, সরকার তার কোম্পানির কাঠামো ‘অচল’ করেছে। চেলসি বিক্রির অর্থ এখনো অবরুদ্ধ রয়েছে, কারণ কীভাবে তা ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।

দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্ধেকেরও কম অর্থ ইউক্রেনের সহায়তায় যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এই অর্থ বর্তমানে লন্ডন নিবন্ধিত ফোর্ডস্ট্যাম লিমিটেডের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে, যা আব্রামোভিচের মালিকানাধীন।

সরকার—কনজারভেটিভ হোক বা বর্তমানে লেবার—সবসময় বলেছে যে, এই অর্থ মানবিক প্রকল্পে ইউক্রেনে ব্যবহার করতে হবে। তবে আব্রামোভিচ বলেছেন, তিনি চায় যুদ্ধের সব ভুক্তভোগীর জন্য অর্থ ব্যয় হোক, যার মধ্যে কিছু অংশ রাশিয়াতেও ব্যবহার হতে পারে।

ফোর্ডস্ট্যাম লিমিটেডের বিলম্বিত কোম্পানি অ্যাকাউন্ট প্রকাশের পর জানা গেছে, কেবল ‘নিট আয়’ অর্থ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, ১.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের ঋণ রয়েছে আব্রামোভিচের জার্সিতে নিবন্ধিত ক্যাম্বারলে ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের কাছে।

এখন পর্যন্ত ফান্ড থেকে ঋণ পরিশোধ বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ অফিস অব ফাইন্যান্সিয়াল স্যানশনস ইমপ্লিমেন্টেশন (OFSI)-এর লাইসেন্স অনুমোদন পাওয়া জরুরি।

জুনে সরকার হুমকি দিয়েছিল, চেলসির বিক্রির অর্থ ইউক্রেনে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে আদালতে নিয়ে যাবে। তবে এখনো সমাধান না হওয়ায় সরকার ‘গভীরভাবে হতাশ’।

সরকারের মুখপাত্র স্ট্যান্ডার্ড স্পোর্টকে বলেছেন, ‘সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, চেলসি ফুটবল ক্লাব বিক্রির পুরো অর্থ ইউক্রেনে মানবিক সহায়তায় পৌঁছাক। আমরা আব্রামোভিচের সঙ্গে চুক্তি করতে পারিনি, কিন্তু দরজা খোলা থাকবে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের সাহায্য নেব।’

এদিকে আব্রামোভিচের মুখপাত্র বলেন, স্যানশনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ক্যাম্বারলে ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডসহ আব্রামোভিচের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সকল প্রতিষ্ঠান কার্যত ২০২২ সাল থেকে অচল। তাই অর্থের কোনো ব্যবস্থা সরকারের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয়। সরকার এই পরিস্থিতির জন্য কোনো আইনি সমাধান প্রস্তাব করেনি।