নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে চলতি বছর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয় তাকে। শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো।
এরপরই নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে ফিফার ঘোষণা। আসছে ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র। এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো ‘ফিফা পিস প্রাইজ’ বা ফিফা শান্তি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ফিফার সকার গভর্নিং বডি জানায়, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিরোধ নিরসনে ব্যতিক্রমী কাজকে স্বীকৃতি জানাতেই এই পুরস্কার চালু করা হয়েছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই কি প্রথম এই সম্মান পাবেন—সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। গুঞ্জন রয়েছে, পুরস্কারটি ট্রাম্পের হাতেই উঠতে যাচ্ছে।
মিয়ামিতে এক অনুষ্ঠানে ইনফান্তিনো বলেন, ৫ ডিসেম্বর দেখা যাবে কী ঘটে!— বাকিটা রহস্যই রেখে দেন তিনি।
ইনফান্তিনো আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে অমীমাংসিত দ্বন্দ্ব, উত্তেজনা ও বিভেদ প্রশমনে যে-কেউ কঠোর পরিশ্রম করলে তার স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।
একই সঙ্গে ভবিষ্যতে প্রতিবছর ‘বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের পক্ষ থেকে’ এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ইনফান্তিনো প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে আমার। বিশ্বকাপ আয়োজনের নানা কাজে তার সহায়তা পেয়েছি।’



