ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনের আগে গণভোটসহ ৫ দাবি মেনে নিতে ৮ দলের আল্টিমেটাম

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদের এই গণআকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। তা না হলে ১১ নভেম্বর ঢাকার চিত্র ভিন্ন হবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এদিন পাঁচ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করে জামায়াতসহ আটটি সমমনা দল। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৎস্য ভবনের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

পদযাত্রা থেমে গেলেও জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে আট ইসলামী দলের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। পরে ফিরে এসে তিনি আবার বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, আগামী ১১ তারিখে আট রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে রাজধানীতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানাই ঢাকা জনপদ মুখর হওয়ার আগেই আমাদের দাবি মেনে নিন।

এ সময় তিনি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের আহ্বান জানান এবং সাংবাদিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই মতিঝিল শাপলা চত্বর ও পল্টন মোড়ে জড়ো হন আট দলের নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টার পর ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অংশ নেন তারা। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হয়।

জামায়াত ছাড়া অন্যান্য দলগুলো হলো: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

জামায়াতসহ ৮ ইসলামী দলের পাঁচ দফা দাবি হলো, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।